Image description

শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। একটি টেকসই রাষ্ট্রের বিনির্মাণে মাতৃভাষাভিত্তিক উন্নত শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। ভাষা যোগাযোগের জন্য একটি শক্তিশালী বাহন। বিশ্বের অগণিত ভাষার মধ্যে, মাতৃভাষা ব্যক্তি ও সমষ্টিগত পরিচয়ে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। মাতৃভাষা প্রায়শই একজন ব্যক্তির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাথে গভীরভাবে জড়িত। ভাষা কৃষ্টি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, লোককাহিনী এবং সামাজিক-পারিবারিক মূল্যবোধকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে প্রেরণের একটি শক্তিশালী বাহক।

ভাষা, শব্দ, প্রতীক এবং অভিব্যক্তির বহিঃপ্রকাশ যোগাযোগের একটি অন্যতম মাধ্যম থেকেও অনেক বেশি। ভাষা পরিচয়ের একটি ভিত্তিপ্রস্তর, সংস্কৃতির শিঁড়দাড়া এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের একটি অন্যতম ধারক ও বাহক। একটি ভাষাকে যখন সঠিকভাবে ধারণ ও লালন-পালন করা হয় তখন সে ভাষা হয়ে উঠে যে কোনো সমাজ ও সম্প্রদায়ের অতীত ও বর্তমানের সাথে সংযুক্ততার সেতু, একটি জাতিকে তার ঐতিহাসিক শেকড়ের সাথে সংপৃক্ত করার মাধ্যম। আর এই ভাষাই যখন হয়ে উঠে জাতীর শিক্ষা পদ্ধতির একমাত্র মাধ্যম তখন যে কোনো সমাজ ও জাতীর উন্নয়ন ও প্রগতিতে নেমে আসে প্রাঞ্জল ঋজুতা। সমাজ, চরিত্র ও স্বাবলম্বী হওয়ার শিক্ষায় হয়ে উঠে সক্ষম। ভাষার কথা মনে হলেই আমাদের চিন্তায়-চেতনায় ভর করে অমর একুশের কথা। ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখটি এলেই বাঙালির প্রাণ-বেদনায় কেঁদে উঠে।

১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন পরবর্তীতে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও শিক্ষাগত আন্দোলনে রূপ দিয়েছিল। ভাষাগত অধিকারের সংগ্রাম শুধু বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেনি বরং একটি সাংস্কৃতিক নবজাগরণকেও উৎসাহিত করেছিল। একুশের বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলতঃ ভাষাগত অধিকারের সংগ্রাম থেকে জন্মগ্রহণ করে। এই দিনটি বাঙালির ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে যুগ যুগ ধরে নিঃসন্দেহে। এই গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাটি জাতির নৈতিক কাঠামোতে প্রভাব ফেলেছে গভীরভাবে। আজ বাংলাদেশের সর্বত্র এই দিনটিকে ঘিরে চলে নানা ধরনের আয়োজন।

বাংলা একাডেমি আর স্বাধীনতার মাঠ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বসে একুশের বইমেলা, হাজারো বাঙালির পদচিহ্নে ভারি হয় প্রাঙ্গণ। কি এক রমরমা পরিবেশ, হাসি-কান্না-আনন্দের আর বেদনার। আমরা স্মরণ করি বাংলার সে তাজা তরুণদের শ্রদ্ধা ভরে যারা নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে এনে দিয়েছিল আমাদের কথা বলার অধিকার। ওদের আত্মত্যাগেই আমরা পেয়েছি একটি দিবস ২১ ফেব্রুয়ারি খালি পায়ে প্রভাত ফেরিতে শামিল হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। শহীদ মিনারের বেদিতে ফুলের তোড়া দিয়ে অর্ঘ দেয়ার একটি কারণ। মায়ের ভাষায় কথা বলার উদ্যাম উচ্ছ্বাস। একুশ আমাদের জাতীয় গর্ব। আত্মপরিচয়ের তিলক। বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।

নিজের মায়ের ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা। আর মাতৃভাষার আদলে যখন জাতীর শিক্ষা পদ্ধতি পরিচালিত হয় তখন তা হয়ে উঠে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। উন্নতমানের নৈতিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়নে মাতৃভাষার গুরুত্ব অনস্বীকার্য। শিক্ষা হলো ব্যক্তিগত ও সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তি। শিক্ষার মান ও নৈতিক মাত্রা গঠনে মাতৃভাষার ভূমিকা গভীর। মাতৃভাষা, বাড়িতে কথিত ভাষা এবং গভীরভাবে সাংস্কৃতিক পরিচয়ে প্রোথিত।

শিক্ষায় মাতৃভাষার উপর জোর দেয়ার একটি প্রাথমিক কারণ হলো সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষায় এর ভূমিকা। ভাষা সংস্কৃতির বাহক, এবং মাতৃভাষা একটি সম্প্রদায়ের অনন্য ঐতিহ্য এবং মূল্যবোধকে ধারণ করে। যখন শিক্ষা মাতৃভাষায় পরিচালিত হয়, তখন সাংস্কৃতিক সুন্দরতা এবং নৈতিক ভিত্তিগুলো নির্বিঘ্নে শেখার প্রক্রিয়ার সাথে একত্রিত হয় জোরালোভাবে। গুণগত শিক্ষা কার্যকর যোগাযোগ এবং বোঝার উপর নির্ভর করে। মাতৃভাষা, বাড়ির এবং তাৎক্ষণিক সম্প্রদায়ের ভাষা হওয়ায়, শিক্ষার্থীদের শেখার ক্ষেত্রে সহজ ও অনুক‚ল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহণ ও শিক্ষা দানে স্বাচ্ছন্দ্যতা বজায় থাকে। বিষয়বস্তু এবং নৈতিক মূল্যবোধগুলোকে গভীরভাবে উপলব্ধির জন্য মাতৃভাষার প্রয়োগের বিকল্প নেই। মাতৃভাষায় শিক্ষা জ্ঞানীয় বিকাশ এবং সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা বাড়ায়।

শিক্ষার্থীদের যখন তাদের নিজস্ব ভাষায় পড়ানো হয়, তখন শিক্ষার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণ, প্রশ্ন এবং মূল্যায়ন করতে সহজ হয়। মাতৃভাষাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থায় শিক্ষার্থীরা নৈতিক দ্বিধা, মূল্যবোধ এবং নীতিগুলো আরও গভীরতা এবং স্পষ্টতার সাথে অন্বেষণ করতে পারে। একজনের নিজস্ব ভাষার সাথে মানসিক সংযোগ নৈতিক মূল্যবোধের বিকাশের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। তাছাড়া শিক্ষায় মাতৃভাষা ব্যবহার অন্তর্ভুক্তি এবং সহজলভ্যতাকে উৎসাহিত করে। তাই মানসম্মত ও নৈতিক শিক্ষার বিকাশে মাতৃভাষার গুরুত্বকে উড়িয়ে দেয়া যায় না। এটি সাংস্কৃতিক সংরক্ষণ, কার্যকর যোগাযোগ, জ্ঞানীয় বিকাশ, মানসিক সংযোগ এবং অন্তর্ভুক্তির জন্য একটি অন্যতম বাহক হিসাবে কাজ করে।

ভাষা আন্দোলন নিয়ে বাংলার মানুষ জ্ঞাত। আন্দোলন গতি পায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, যখন ছাত্র ও কর্মীরা উর্দু চাপিয়ে  দেওয়ার প্রতিবাদে পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় নেমে আসে। বিক্ষোভকারীরা বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানায়। পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালালে বিক্ষোভটি অন্যদিকে মোড় দেয়। যার ফলে প্রাণহানি ঘটে। পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষাকে নিয়ে আন্দোলন করে প্রাণহানির ঘটনা বিরল। তাই ভাষা আন্দোলন বাংলার মানুষের আত্মপরিচয়ের তিলক। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মানুষদের গর্ব। এই আন্দোলনটি বাংলার সাংস্কৃতিক নবজাগরণের ভিত্তি স্থাপন করেছিল। মাতৃভাষা আন্দোলন ধর্মীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সীমানা অতিক্রম করে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।

ভাষা আন্দোলনের সময় প্রদর্শিত সম্মিলিত চেতনা একটি নৈতিক আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করে, ঐক্য ও সংহতির গুরুত্বের উপর জোর দেয়। এই মূল্যবোধগুলো নৈতিক শিক্ষাকে অনুপ্রাণিত করে, সম্প্রদায়ের সামাজিক দায়িত্ববোধ এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার অনুপ্রেরণা দান করে। অন্যদিকে ভাষা আন্দোলন ছিল ভাষাগত সমতার লড়াই, বিভিন্ন সংস্কৃতি ও ভাষাকে সম্মান ও সংরক্ষণের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়ার সম্মিলিত প্রয়াস। সাংস্কৃতিক সম্মান এবং অন্তর্ভুক্তির সামাজিক দর্শনটি নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি হিসাবে কাজ করে। ভাষা আন্দোলনের উত্তরাধিকার নিরবচ্ছিন্নভাবে বাংলাদেশের শিক্ষাগত কাঠামোতে জোরালোভাবে সংপৃক্ত করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। তবে সে ক্ষেত্রে অগ্রণী ভ‚মিকা পালন করবে সরকার।

নৈতিক শিক্ষা কার্যক্রমে ভাষা আন্দোলনসহ স্বাধীনতা আন্দোলনের মূল্যবোধগুলো থেকে অনুপ্রেরণা গ্রহণ করে, এর সামাজিক-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মূল্যবোধগুলো ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের হৃদয় ও মনে সাহস, ঐক্য, ত্যাগ এবং সাংস্কৃতিক সম্মানের মতো নৈতিক মূল্যবোধগুলোকে জাগিয়ে তুলতে হবে। এই নৈতিক শিক্ষাগুলোকে পাঠ্যসূচিতে একীভ‚ত করার মাধ্যমে, শিক্ষাব্যবস্থা ভাষা আন্দোলনের নৈতিক মর্মকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সঞ্চারিত করার একটি বাহক হয়ে ওঠতে পারে। বাংলাদেশে বাংলা ভাষা আন্দোলন তার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে অতিক্রম করে নৈতিক শিক্ষার উৎস হয়ে উঠেছে। ভাষা আন্দোলনের মূলে ছিল পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাভাষী জনগোষ্ঠীর মধ্যে সাংস্কৃতিক পরিচয় এবং গর্বের গভীর অনুভূতি।

পশ্চিম পাকিস্তানে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক উর্দুকে একমাত্র সরকারি ভাষা হিসাবে চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তকে বাঙালি জনগণের সমৃদ্ধ ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর আক্রমণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। যা পরবর্তীতে সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্য একটি অনুঘটক হয়ে ওঠে, এবং এই অঞ্চলের মানুষদেরকে তাদের মাতৃভাষা সংরক্ষণের জন্য একটি সম্মিলিত অবস্থানের দিকে নিয়ে যায়। ভাষা আন্দোলন ব্যক্তি ও সম্মিলিত নৈতিকতার একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে সাংস্কৃতিক পরিচয়ের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিল। এটি বাংলাদেশের জনগণকে তাদের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে লালন ও রক্ষা করতে শিখিয়েছে।

নিজের ভাষা রক্ষা করা শুধু ভাষাগত বৈচিত্র্যের বিষয় নয়, জাতির সাংস্কৃতিক চেতনায় নৈতিক দায়িত্বও বটে। বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষা কারিকুলামে ভাষা আন্দোলনের মূল্যবোধ ও চেতনাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সংস্কৃতি, ভাষা এবং ঐতিহ্যকে সম্মান করার গুরুত্ব শেখানোর জন্য বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। একুশের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হলে ভাষাকে জাতীয় কর্মকাণ্ডের সাথে সংপৃক্ত করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা সকলেই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারি। তবে একটি জাতির মধ্যে মাতৃভাষা প্রচারে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা অমূল্য। বুদ্ধিজীবীরা সমাজের নমস্য ও প্রভাবশালী। তাদের জ্ঞান এবং দক্ষতা ব্যবহার করে জনমতকে শিক্ষিত করতে এবং প্রভাবিত করতে পারেন। ভাষা, সংস্কৃতি এবং ইতিহাস সম্পর্কে তাদের অনন্য প্রজ্ঞার কারণে একটি জাতির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে সহায়তা করার পাশাপাশি তাদের স্থানীয় ভাষা সম্পর্কে লোকেরা যেভাবে চিন্তা করে তাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা নিতে সক্ষম।

এছাড়াও, বুদ্ধিজীবীরা নিজের ভাষায় কথা বলার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচারাভিযানে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হতে পারেন। মাতৃভাষাকে জাতীর সর্বস্তরে পৌঁছানোর মাধ্যমেই একুশের চিরন্তন চেতনাকে সমুন্নত রাখা হবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং সেটাই হবে শহীদদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান। তাই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা উচিত বাংলা ভাষার ভিত্তিতে। শিক্ষার সকল কার্য-কর্মে বাংলা ভাষাকে সংপৃক্ত করতে হবে প্রাণবন্তভাবে। যদিও এই বিজয় ছিল বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের জন্য একটি বড় মাইলফলক, আমাদের আত্ম-উপলব্ধির পরম সন্ধিক্ষণ কিন্তু বিজয়ের এত যুগ পরেও আমরা কি পেরেছি আমাদের সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থায় একুশের মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে? নড়বড়ে শিক্ষাব্যবস্থায় নেমে এসেছে দুর্বৃত্তায়ন। তাই এখনো সময় আছে আরেকবার জেগে উঠার। ভাষাভিত্তিক শিক্ষার নবজাগরণের। তা না হলে আমাদের পিতা-প্রপিতামহের আত্মাও শান্তি পাবে না। পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ভগ্ন শিক্ষা পদ্ধতির জন্য আমরা থাকবো দায়বদ্ধ। ভাষাগত সমতা অর্জনের জন্য এখনও যে অনেক কাজ বাকি আছে। শুধু বাকিই নয় বরং বিদেশি ভাষার আগ্রাসন আর আমাদের নৈতিক অধঃপতনের কারণে মায়ের ভাষা আজ বিপদগ্রস্ত। এই ঐতিহাসিক ঘটনার সময় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সম্মান জানাতে আমাদের অবশ্যই প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন দিবস উদযাপন চালিয়ে যেতে হবে যাতে এর উত্তরাধিকার চিরকাল বেঁচে থাকে। তবে ২১’র চেতনা যেন শুধু মায়া কান্নার মধ্য দিয়েই শেষ না হয়।

বাংলাদেশের জাতীয় কর্মকাণ্ডের সকল ক্ষেত্রে নাগরিকদের মধ্যে ঐক্য ও সংহতি বাড়াতে বাংলা ভাষার ব্যবহার করা উচিত। আমরা সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানাই যেন বাংলা ভাষাকে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার অগ্রগতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে সংপৃক্ত করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়। ২১’র চেতনাকে সমুন্নত রাখতে হলে আর দেরি না করে এখনই প্রয়োজন মাতৃভাষাকে সর্বস্তরে বাস্তবায়নের এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা।

লেখক: শিক্ষক, গবেষক এবং কলামিস্ট

মানবকণ্ঠ/এআই