Image description

জামালপুরে আদালত চত্বরে আইনজীবীদের সঙ্গে ছাত্র-জনতার সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে । এতে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে জেলা আদালত চত্বরে আইনজীবী সমিতির সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সম্প্রতি ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জে দুইটি ধর্ষণের বিচারের দাবিতে শহরের দয়াময়ী চত্বরে মানববন্ধন করে ছাত্র-জনতা। মানববন্ধন শেষে ওই ধর্ষণ মামলা দুটির আসামির পক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে যায় তারা। এসময় অভিযুক্ত এক আসামির বয়স কম দেখানোর বিষয়ে আইনজীবীর সঙ্গে ছাত্র-জনতার বাকবিতণ্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে দুই পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তারেক শেখ বলেন, আদালত চত্বরে ধর্ষণ মামলার দুই আইনজীবী দাঁড়িয়ে ছিলেন। সেই জন্য আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। একজন ধর্ষকের পক্ষে কীভাবে একজন আইনজীবী মামলা লড়ছেন। আমরা মূলত এই দাবি নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করার সময় আইনজীবীরা আল্টিমেটাম দেন, আমরা যেন ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বের হয়ে যাই; না হলে ওনারা পুলিশ এনে আমাদের বের করে দেবেন বলে জানান। এরপরেও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করি।

তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির কিছু লোক এসে এক ছাত্রকে নিয়ে যান। একজন প্রবীণ আইনজীবী খারাপ আচরণ করেন। আমাদের সহকর্মীকে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা কিছু কথা বলি। তাদের স্টাফ এসে আমাদের সঙ্গে খারাপ কথাবার্তা বলেন।

জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিশাদ রেজওয়ান বাবু বলেন, ‘জেলা জজ আদালতে কার্যক্রম চলাবস্থায় যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক। জামালপুর বিচারঙ্গনে এমন ঘটনা এর আগে কখনোই ঘটেনি। কিছু দুষ্কৃতিকারী লাঠিসোঁটা নিয়ে আদালতে প্রবেশ করেন। তারা বিভিন্ন আইনজীবীদের হুমকি দেন।’

তিনি আরও বলেন, তারা একটি মামলার বিষয়ে কিছু বক্তব্য দিতে চান। আমি সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে এসে তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। আমরা তাদের শান্ত রাখার চেষ্টা করি। তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য যখন চেয়ার বসাচ্ছিলাম, ঠিক তখন নিচে তারা আমাদের দুই আইনজীবীকে আহত করেন। তাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমানের ৮০ বছরের বৃদ্ধ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।