Image description

তথ্য ফাঁস করে আসামি পলায়ন ঠেকাতে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে সংশোধন হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) বিধিমালা। আগামী সপ্তাহেই প্রজ্ঞাপন হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকালে মতবিনিময়ে তিনি জানান, বিপুল অর্থ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের ল ফার্ম ডটি স্ট্রিট চেম্বারকে লবিস্ট নিয়োগ করেছে আওয়ামী লীগ।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্রক্রিয়ার অগ্রগতি ও আইন নিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে এ মতবিনিময় করে প্রসিকিউশন টিম। 

এসময় জানানো হয়, শেখ হাসিনা ও তার সরকারের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে এক হাজারের বেশি জনের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। ৩৩৯টি অভিযোগ ও ২২টি মামলা হয়েছে। পরোয়ানাভুক্ত ১৪১ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার ৫৪ জন। 

আইসিটি প্রসিকিউটর মনোয়ার হোসেন তামিম বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি গুলি করে হত্যা করার পর থানাতে নিয়ে গিয়ে বুট দিয়ে পাড়িয়ে চেহারা বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে। জীবন বাঁচানোর জন্য ছাদের কার্নিশে ঝুলে রয়েছে। সেই কার্নিশের কাছে গিয়ে তাকে পরপর ৭টা গুলি করা হয়েছে। আমরা যদি এর বিচার করতে না পারি তাহলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্য, এরচেয়ে অযোগ্যতা ইতিহাসে এই জাতির জন্য আর হবে না।’

চিফ প্রসিকিউটর জানান, রুয়ান্ডা, কম্বোডিয়া, যুগোস্লাভিয়াসহ আলোচিত গণহত্যার বিচারের তুলনায় বাংলাদেশে তদন্ত অনেক দ্রুত হচ্ছে। হাসিনাসহ গুরুত্বপূর্ণ চার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদনও শেষ পর্যায়ে। 

প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে চিফ প্রসিকিউটর জানান, আসামি গ্রেপ্তার আরও সহজ করতে বিধি সংস্কার করা হচ্ছে। 

তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রুলস অব প্রসিডিউর অ্যামেন্ডমেন্ট হবে। এটার জন্য কোনো অর্ডিন্যান্স জারির প্রয়োজন হবে না। ট্রাইব্যুনাল সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এটা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ হলেই এটা আইনে পরিণত হবে। এটার প্রক্রিয়া চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই আশা করছি হয়ে যাবে।’

প্রসিকিউশন জানায়, বিচার কাজে বাধা দেওয়া এবং আইসিসিতে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনতে যুক্তরাজ্যে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অভিযুক্তরা।