Image description

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ক শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, গুম ও নির্যাতনের মতো গুরুতর অপরাধগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশে সংঘটিত হতো।

রোববারম দুপুর ১২টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই শুনানি শুরু হয়। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

শুনানিকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার তিন সেনা কর্মকর্তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাকা সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন—ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

মামলায় শেখ হাসিনাসহ পলাতক অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, ডিজিএফআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লে. জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) সাইফুল আবেদিন, লে. জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লে. জেনারেল তাবরেজ শামস চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হকসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা।

পলাতক আসামিদের পক্ষে আইনি লড়াইয়ের জন্য ‘স্টেট ডিফেন্স’ নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। শুরুতে শেখ হাসিনার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে নিয়োগ দেওয়া হলেও ৩ ডিসেম্বর অসুস্থতার কারণে তিনি নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। বর্তমানে আইনজীবী মো. আমির হোসেন শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ অক্টোবর প্রসিকিউশন এই মামলায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। পরবর্তীতে ২২ অক্টোবর আটক তিন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।