গত রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের অভিযানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কসহ বিভিন্ন স্থানে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
ইতিমধ্যে সিরিয়ার সামরিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে ২৫০ এর বেশি হামলা চালিয়েছে দখলদার দেশটি। এটিকে ইসরায়েলি বাহিনীর ইতিহাসে সিরিয়ায় সবচেয়ে বড় হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে শুধু হাম্লাই নয়, আসাদ সরকারের পতনের পর গোলান মালভূমির সিরিয়া-নিয়ন্ত্রিত এলাকা ও হারমন পার্বত্য অঞ্চল দখলে নিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইসরায়েল ও জেরুজালেম পোস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, বাশার আল-আসাদ সরকারের পতনের পর চরমপন্থিদের নিষ্ক্রিয় ও তেল আবিবের নিরাপত্তা নিশ্চিতেই তারা এসব পদক্ষেপ নিয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সিরিয়ার দুটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে টাইমস অফ ইসরায়েল জানায়, ইসরায়েলি বিমানগুলি দামেস্কের কাছে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অন্তত তিনটি প্রধান বিমান ঘাঁটিতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যেখানে কয়েক ডজন হেলিকপ্টার এবং জেট বিমান রয়েছে। এতে ঘাঁটিগুলো পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
এর আগে রবিবার ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সিরিয়ার ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণাগার, ওয়্যারহাউস, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং রাসায়নিক অস্ত্রের স্থানগুলোতে আঘাত হানে।
এদিকে ইসরায়েলি বাহিনী সিরিয়ার একের পর এক ভূমি দখলের নিন্দা জানিয়ে একে আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছে সৌদি আরব, কাতার ও ইরাক।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments