
ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনেও হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই শিশু। সোমবার (৩১ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক বার্তা সংস্থা আল জাজিরা।
সংবাদ মাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিনে ফিলিস্তিনিদের জন্য গাজার কোথাও নিরাপদ নয়।ভোর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকাজুড়ে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টা ধরে প্রাণঘাতী ঘটনা ঘটেছে। বিশেষ করে খান ইউনিসে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে অন্তত সাতটি বাড়িতে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ঈদের সময় ফিলিস্তিনিরা একে অপরের সঙ্গে দেখা করার সময় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অংশ, নুসেইরাত এবং নেটজারিম করিডোরের খুব কাছের এলাকায় অবিরাম কামান দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।
দেইর এল-বালাহতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে এবং এই এলাকায় তিনজন কৃষক নিহত হয়েছেন। সিভিল ডিফেন্স দল এবং প্যারামেডিকদের মতে, মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা খুবই বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।
গাজার মধ্যাঞ্চলের মাগাজি শরণার্থী শিবিরে নিহত একজন ফিলিস্তিনির মৃতদেহ দেইর এল-বালাহতে অবস্থিত আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
এর আগে গতকাল রোববার অর্থাৎ গাজায় ঈদের দিন ইসরায়েলের হামলায় শিশুসহ অন্তত ৬৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন। আল-মাওয়াসিতে বিমান হামলায় নিহত তিন তরুণীকে ঈদের দিন নতুন পোশাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে বলে জানায় আল জাজিরার সানাদ যাচাইকরণ ইউনিট।
এদিকে দক্ষিণ গাজার রাফাহের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক সপ্তাহ পর ১৫ জন জরুরি কর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস)।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, যুদ্ধবিরতির চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য হামাসকে অস্ত্র জমা দিতে হবে। তাদের নেতাদের নির্বাসিত করতে হবে এবং গাজার নিরাপত্তা ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে কমপক্ষে ৫০ হাজার ২৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৫ জন আহত হয়েছে। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস প্রায় দুই মাস আগেই এই সংখ্যা আরও বেশি বলে জানায়। তাদের মতে, গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ এরও বেশি।
Comments