দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে শারীরিক অবস্থা নিয়ে তীব্র ধোঁয়াশা ও মৃত্যুর গুঞ্জনের পর অবশেষে পাকিস্তানের কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যদের সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) ইমরান খানের বোন ডা. উজমা খানকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন ও পিটিআই নেতাদের বরাতে জানা গেছে, টানা ২৫ দিন ধরে ইমরান খানের সঙ্গে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছিল না। এতে তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতাকর্মী ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে চরম উদ্বেগ তৈরি হয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ৭২ বছর বয়সী এই নেতা কারাগারে মারা গেছেন। আফগানিস্তানভিত্তিক কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে এই গুজব ছড়ানোর পর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়। তবে বোনের সঙ্গে এই সাক্ষাতের অনুমতির মধ্য দিয়ে সেই গুজবের অবসান ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেট তারকা। তোশাখানা দুর্নীতি মামলা, কূটনৈতিক নথি ফাঁস (১০ বছরের জেল) এবং আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় (১৪ বছরের জেল) তাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে। যদিও ইমরান খান ও তার দল দাবি করে আসছে, তাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এসব ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মামলা সাজানো হয়েছে।
পিটিআই অভিযোগ করেছে, গত মাসে ইমরান খানের তিন বোন- নোরীন নিয়াজি, আলিমা খান ও উজমা খান ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে লাঞ্ছিত হন। এছাড়া পিটিআই সিনেটর খুররম জিশান সম্প্রতি ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানান, ইমরান খানকে কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে আটকে রেখে দেশত্যাগে বাধ্য করার জন্য চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। সরকার তার আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বলেই তার কোনো ছবি বা ভিডিও প্রকাশ করছে না।
মঙ্গলবার বোনের সাক্ষাতের অনুমতি পাওয়ার আগে পিটিআই নেতাকর্মীরা ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে বিক্ষোভ করেন এবং ন্যায়বিচার ও রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি জানান। কারাগার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ইমরান খান সুস্থ আছেন এবং তাকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।




Comments