তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের 'তিতুমীরস ভয়েস ফর প্যালেস্টাইন' কর্মসূচি পালনের ঘোষণা

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব পরাশক্তিদের মদদে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান নির্বিচারে নৃশংস হামলার প্রতিবাদে 'Titumir's Voice For Palestine' শীর্ষক কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) ‘তিতুমীর ঐক্য’র পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ৭ এপ্রিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে কলেজের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম স্থগিত থাকবে এবং কলেজের মূল ফটকে উত্তোলন করা হবে কালো পতাকা। গাজাবাসীর উপর চালানো নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে তারা গভীর ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এই হামলা গোটা মানবতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
তিতুমীর কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব বলেন, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রাম আরব বিশ্বের অনেক পুরনো ক্ষত। যদিও বলা হয়, ১৯৪৮ সাল থেকে ইসরাইল দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে, কিন্তু মূলত তার অনেক আগে থেকেই ইহুদিরা মুসলমানদের উচ্ছেদ করে আসছিল। ১৯৩৬ সালের ফিলিস্তিনি আরব বিদ্রোহ এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী আমিনুর ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুসলিম বিশ্ব যেভাবে চুপ রয়েছে এটি তাদের অক্ষমতা ও মুনাফেকি চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া দ্বিতীয় কিছু নয়। পশ্চিমা বিশ্ব গাজাবাসীর ওপর হামলার সরঞ্জাম ও পরামর্শ সর্বোচ্চ পর্যায়ের সরবরাহ করেছে। একজন মানুষ কখনো অন্য একজন মানুষের ওপর এমন নির্যাতন ও জুলুম চালাতে পারে না। এসব প্রত্যক্ষ করার পরও যদি একজন মুসলিম হয়ে আপনার হৃদয়ে আঘাত না লাগে তবে ধরে নিতে হবে, আপনি নির্জীব বস্তু বৈকি আর কিছু না।
তিতুমীর কলেজটির বাংলা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মেহেরুন্নেসা মেহের বলেন, গাজায় হামলা ভীষণ দুঃখজনক ব্যাপার । মুসলিম হয়েও তাদের পাশে দাঁড়াতে পারছি না,তাদের জন্য কিছু করতে পারছি না, এর চেয়ে কষ্টের কিছু হতে পারে না। এই মুহূর্তে দূর থেকে তাদের জন্য দোয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই।।সারা বিশ্বব্যাপী স্ট্রাইক হবে,আমরা প্রতিবাদ হিসেবে সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে স্ট্রাইক করতে পারলেও দূর থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানো হবে বলে মনে করি ।
আল্লাহ সবাইকে হেদায়েত দান করুক। সকল শক্তিশালী দেশ গুলোর উচিত ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানো ।
Comments