Image description

‘আমাকে সব সময় পাওয়া যাবে। শুধু একটা ফোনের অপেক্ষা। আমি সব সময় তৈরি।’– এর আগেও অবসর ভেঙে মাঠে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। সেবারে অবশ্য তার অনুরোধ রাখা হয়নি। এবারে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে খেলতে নিজের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ওয়ার্নার।

ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজকে কেন্দ্র করে বেশ সিরিয়াস অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। মিচেল স্টার্ক, স্টিভ স্মিথরা প্রায় ৪ বছর পর ফিরছেন শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলতে। আবার প্যাট কামিন্স নিজেকে লম্বা বিশ্রাম দেয়ার কথা বললেও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে খেলতে চেয়েছেন। অন্যদিকে পাকিস্তান সিরিজ থেকেই নাম সরিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করতে চেয়েছেন ট্রাভিস হেড। 

সতীর্থদের এমন অবস্থান দেখেই হয়ত আবার মাঠে ফেরার তাড়না অনুভব করছেন ডেভিড ওয়ার্নার। গত জানুয়ারিতে অবসর নেয়া এই ওপেনার ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন, ‘আমাকে সব সময় পাওয়া যাবে। শুধু একটা ফোনের অপেক্ষা। আমি সব সময় তৈরি। আমাদের দল ফেব্রুয়ারি মাসে শেষ লাল বলের ক্রিকেট খেলেছে। তাই আমার পরিস্থিতি বাকিদের মতোই। ওরা যদি মনে করে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজে আমাকে প্রয়োজন, তা হলে আমি খুশি মনেই শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ খেলব।’

অবশ্য ওয়ার্নারের এই ফেরার আবেদন অস্ট্রেলিয়া চাইলে ভেবেও দেখতে পারে। দলটিতে ওপেনার নিয়ে আপাতত সংকট চলছে। ওয়ার্নার অবসর নেওয়ার পর টেস্টে স্টিভ স্মিথকে দিয়ে ওপেন করানোর সিদ্ধান্ত নেয় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ইনিংস শুরু করে সাফল্য পাননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক। আটটি ইনিংসে ২৮.৫০ গড়ে করেছিলেন ১৭১ রান। 

এদিকে স্মিথের চিরায়ত চার নম্বর জায়গায় খেলছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। তিনি চোটের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গিয়েছেন। স্মিথও আবার নিজের চার নম্বরে ফিরতে চান। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স, কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড এবং নির্বাচকেরাও স্মিথকে আশ্বাস দিয়েছেন চার নম্বর জায়গা ফিরিয়ে দেওয়ার। এই পরিস্থিতিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে নতুন ওপেনিং জুটি ঠিক করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। ওয়ার্নারকে চাইলে সেই জায়গায় সুযোগ দিতেও পারে অস্ট্রেলিয়া। 

কিন্তু অবসরের ঠিক নয় মাসের মাথায় ডেভিড ওয়ার্নার ফিরতে চাওয়ায় এসেছে নতুন প্রশ্নও। তবে কি আগের সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধা আছে ওয়ার্নারের মনে? এর উত্তরে সাবেক এই ওপেনার জানালেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট থেকে আমার অবসরের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। কারণ সত্যিই শেষ করতে চেয়েছিলাম। তবে প্রয়োজন হলে আমি আবার মাঠে নামার জন্য তৈরি। আমি পালিয়ে যাওয়ার ছেলে নই।’