বিপিএলে টিকিট না পাওয়ায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) মিরপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিং কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাঙচুর এবং কাউন্টারে আগুন দিয়েছিল দর্শকরা। তাই নিরাপত্তা বাড়াতে দেশের তিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসের বিপক্ষে মাঠে নামবে দুর্বার রাজশাহী। দ্বিতীয় ম্যাচকে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলবে রংপুর রাইডার্স।
আর এই দুই ম্যাচের টিকিট বিক্রি হচ্ছে স্টেডিয়াম সংলগ্ন সুইমিং কমপ্লেক্সের বুথে। সেখানে রাস্তার দুই পাশে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিচ্ছে দর্শকরা। আর এখানে সব ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে কাজ করছে পুলিশ, রাব ও সেনাবাহিনী। পুলিশ ও সেনাবাহিনী আগে থাকলেও আজ দেখা গেছে র্যাবকে।
কারণ, গতকালে সুইমিং কমপ্লেক্সে ব্যাপক ভাঙচুর এবং কাউন্টারে আগুন দেওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি।
এদিকে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের গেটেই অনিয়ম দেখা গিয়েছে। স্বেচ্ছাসেবকদের কেউ কেউ পরিচিতদের টিকিট স্ক্যান না করেই মাঠে ঢোকাচ্ছেন, আবার কেউ নিজের অ্যাক্রিডিটেশন দিয়ে গ্যালারিতে পৌঁছে দিয়ে আসছেন বন্ধু-বান্ধবদের। এক পর্যায়ে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও জব্দ করা হয়। এ যেন শর্ষের মধ্যেই ভূত।
গত কয়েক বছর ধরে বিপিএলের আরেকটি নাম হয়ে উঠেছিল বিতর্ক। তাই নতুন বিসিবি সভাপতির কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল বিপিএলকে বিতর্ক মুক্ত করা। যেখানে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন ফারুক আহমেদ। অনেকেই বলছেন বিপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত আসর এটি।
নাজমুল হাসান পাপনের সময় টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ থাকলেও টিকিট পেত দর্শকরা। কিন্তু এবার টিকিটই পাচ্ছে না দর্শকরা। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের গেটে ভিড় করলেও টিকিট মিলছে না।
এবার দর্শকদের ভোগান্তি কমাতে ৮০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে দেওয়ার কথা জানিয়েছিল বিসিবি। সেখানেও বির্তক মুক্তসেবা দিতে ব্যর্থ বিসিবি। অনলাইনে পেমেন্ট করেও টিকিট পেতে হয়রানি হতে হচ্ছে দর্শকদের।
Comments