সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরেও গুলি করে পুলিশ। সেই গুলি খেয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও দুই চোখই হারিয়েছেন সাভারের মাছরাঙ্গা টিভির সংবাদকর্মী সৈয়দ হাসিব। এখনো শরীরে ৯৮টি স্প্লিন্টার নিয়ে কাতরাচ্ছেন হাসপাতালে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৫ আগস্ট সাভারে গুলিবিদ্ধ হন নবী।
আর দেখা হবে না প্রিয় সন্তান, স্ত্রী আর বাবার মুখ। দেখা হবে না সুন্দর পৃথিবী। আমৃত্যু অন্ধকারে ঢেকে গেছে হাসিবের দুই চোখ। দিনটি ৫ আগস্ট। শেখ হাসিনার সরকার পতনের চূড়ান্ত দিন। গলায় পেশাগত পরিচয়পত্র ঝুলিয়ে ক্যামেরা-মাইক্রোফোন নিয়ে বের হন সাভারের সাংবাদিক হাসিব। পুলিশ ভ্যানের সামনে পড়লে তাঁকে গুলি করা হয়। বাঁচার জন্য দৌড় দিলে হাসিবকে আবারো গুলি করে পুলিশ। সেসময় গুলিতে মারা যায় হাসিবের পাশে থাকা আরেকজন।
হাসিব বলেন, ‘আমার সাথে কোনো আন্দোলনকারীও নাই, কোনো উৎসুক জনতাও নাই। আমি একাই দাঁড়িয়ে ছিলাম। পরে পুলিশ সদস্যরা গাড়িতে থাকা কর্মকর্তাদের আমার পরিচয় জানায়। সেখান থেকে আমার ওপর গুলি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।’
স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসার পর হাসিবকে আনা হয়েছে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে।
হাসিবের বাবা গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘আমি কীভাবে এটা সহ্য করব। সারাটা জীবনের জন্য আমার ছেলেটা অন্ধ হয়ে গেল।’
হাসিবের উপার্জনেই চলতো পরিবার। তাই পরিবারের কীভাবে চলবে সে চিন্তায় দিশেহারা হাসিব। তিনি বলেন, আমি যেন আবার কিছুটা হলেও এই চোখ দিয়ে দেখতে পারি। আমি যেন সমাজের বোঝা না হয়ে যাই।
Comments