Image description

নীরব ঘোষণার পর বিমানবন্দর এলাকায় শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেল বা তার বেশি। পরিবেশ বিজ্ঞানীদের মতে, যা মারাত্মক শব্দদূষণ।

বিমানবন্দর সড়কের নিকুঞ্জ এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কোনো চালকই হর্ন না বাজানোর নির্দেশনা মানছেন না। হর্ন বাজাচ্ছে সবাই। এমনকি হাইড্রোলিক হর্নের শব্দও পাওয়া যাচ্ছে। ফলে শব্দ দূষণ একটুও কমেনি।

চালকদের দাবি, ঢাকায় হর্ন ছাড়া গাড়ি চালানো কঠিন। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে রাজপথে কেউ তদারকিও করছে না, নেই কোনো প্রচারও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমে ঢাকার যাত্রীবাহী বাসগুলোর চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে, এরা যেন সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে যাত্রী না তোলে। 

এয়ারপোর্ট জোনের এটিএসআই দিপংকর শিকদার বলেন, কেউ কথা শোনে না। মানুষকে হর্নের জন্য মানা করলে কথা শোনে না। কাউকে কাউকে সতর্ক করেও লাভ হয়নি। 

পরিবেশবিজ্ঞানীরা জানান, বিমানবন্দর এলাকায় এখনও শব্দের মাত্রা ৭০ ডেসিবেলের বেশি। কিন্তু মানুষের স্বাভাবিক শ্রবণ সক্ষমতা সর্বোচ্চ ৬০ ডেসিবেল। নীরব এলাকা ঘোষণার পরও কোনো উন্নতি হয়নি। 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘এখন সচেতনতা চালানো হচ্ছে। আমাদের অভিযান শুরু হবে। একটা সময় মানুষ বুঝতে শুরু করবে। এরপর আর আইনের প্রয়োগ লাগবে না।’ সিটি করপোরেশনের দাবি, এখন সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। এরপর অভিযান চালাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ঢাকায় সচিবালয়, আগারগাঁও, সংসদ ভবন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ পাঁচটি নীরব এলাকা রয়েছে। তবে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের গবেষণা বলছে, সব এলাকাতেই শব্দের মাত্রা বেশি।