Image description

চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেজাম উদ্দিনের ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সংগঠনটির পক্ষে বিবৃতিতে বলা হয়, এ হামলা পুলিশের মনোবলের ওপর বড় আঘাত।

সংগঠনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলে হয়, সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনের শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা এবং চড়-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারার ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর মনে গভীর সমবেদনা তৈরি হয়েছে। একজন পুলিশ অফিসারকে এভাবে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত ও মারধর করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া দণ্ডনীয় এবং ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য।’

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা সকল নাগরিককে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে যেকোনো অসন্তোষ বা অভিযোগের ক্ষেত্রে আইনানুগ পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এ ধরনের ঘটনা সরকারি কর্মচারীদের মনোবল ও কর্মস্পৃহা নষ্ট করে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।’

সংগঠনটি মারধরের ঘটনায় জড়িত সব অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়।

গতকাল সোমবার নগরের কোতোয়ালি থানার সাবেক ওসি নেজাম উদ্দিন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের রোষের মুখে পড়েন। বেলা আড়াইটার দিকে নগরের পাঁচলাইশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে পাঁচলাইশ থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হেফাজতে নেয়। তাঁকে ঘেরাও করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে দেখা যায়, নেজাম উদ্দিনের পরনের পোশাক ধরে উপস্থিত কয়েকজন টানাটানি করছেন। এ সময় ওসি থাকাকালে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নানাভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন ও হয়রানি করেছেন বলে অভিযোগ করতে শোনা যায়। উত্তরে নেজাম উদ্দিনকে বলতে শোনা যায়, তিনি তাঁদের হয়রানি করেননি, সহযোগিতা করেছেন। ভিডিওটি শহীদুল ইসলাম তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুকে অ্যাকাউন্টে লাইভ করেছিলেন।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।