
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় ফেরত চেয়ে কূটনৈতিক পত্র দিয়েছিল বাংলাদেশ কিন্তু ভারত এখনো তার জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম। বৃহস্পতিবার নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আন্তর্জাতিক একটি গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারতে অবস্থান করে শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্য দেশের জন্য বিপদজ্জনক। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য কি? জবাবে মুখপাত্র বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য দেয়ার পর আমাদের বক্তব্য দেয়ার সুযোগ থাকে না।
শেখ হাসিনা প্রত্যাবর্তনে ভারত-বাংলাদেশের কূটনৈতিক পত্রের জবাব দিয়েছে কি না এবং না দিয়ে থাকলে পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে রফিকুল আলম বলেন, এটার বিষয়েও প্রধান উপদেষ্টা সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে জবাব দিয়েছেন। তারপরও আমরা বলছি, আমরা ভারতের কাছ থেকে কোনো জবাব পাইনি। পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা পাবলিকলি একটা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক পত্র পাঠানো হয়। চিঠির দেয়ার পর থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলে আসছে, শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে ভারতের চিঠির জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ। ভারতের কাছ চিঠির জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন চীন সফর নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান মুখপাত্র। তিনি বলেন, ২৬ মার্চ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা চীনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। ২৭ মার্চ তিনি বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া এনুয়াল কনফারেন্সের উদ্বোধনী প্লেনারিতে অংশ নেবেন এবং বক্তৃতা করবেন।
বিকেলে চীনের স্টেট কাউন্সিলের একজিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার সাক্ষাতের কথা রয়েছে এবং ২৮ মার্চ চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবার কথা রয়েছে। ২৯ মার্চ সকালে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণের কথা রয়েছে। সেদিন রাতে তিনি বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments