Image description

কোটা আন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ব্যাপক নাশকতা ও প্রাণহানি ঘিরে টানা পাঁচদিন অচল থাকার পর অনেকটাই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে দেশের পরিস্থিতি। সকাল থেকে কারফিউ শিথিল থাকায় অফিস-আদালত, ব্যাংক খুলেছে। সড়ক-মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চলাচল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সড়কে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি।

বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকেই রাজধানীর উত্তরা, ফার্মগেট, মিরপুর, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, কল্যাণপুর, বনানী, তেজগাঁও, মহাখালীসহ বিভিন্ন রাস্তায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। যানজটে ঢাকার রাস্তায় একরকম স্থবির অবস্থা।

মহাখালী থেকে গুলশান-১ নম্বর হয়ে বাড্ডার সড়কেও দেখা গেছে যানজট। একই পরিস্থিতি রামপুরা থেকে নতুনবাজারের সড়কেও। গণপরিবহন না পাওয়ায় এবং যানজটের কারণে অফিসগামী যাত্রীরা বিপদে পড়েছেন। কখন পৌঁছাতে পারবেন তা নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন তারা।

বাসের এক যাত্রী জানান, বাস ১০ সেকেন্ড চলে তো ১০ মিনিট থেমে থাকে।

বিমানবন্দর সড়ক, মহাখালী, তেজগাঁও, সাত রাস্তার মোড়ে প্রচুর যানজট দেখা গেছে। তেজগাঁও ছাড়া আর কোথাও ট্রাফিক পুলিশ দেখেননি বলে জানান এক যাত্রী।

মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকাতেও সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রচণ্ড যানজট দেখা গেছে। আশপাশের অলিগলিতেও যানজট ছিল। গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন কর্মস্থলগামী মানুষ। সায়েদাবাদে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচের রাস্তায় যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে, কারফিউ শিথিলের সময়ে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস খোলা থাকছে। তবে যানবাহন পেতে দেরি হওয়ায় এবং যানজটে পড়ে অনেকে সময়মতো কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না।