Image description

সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। এতে পুরো রাজধানী স্থবির হয়ে পড়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তিসহ সবাই।

ঢাকার মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মহাখালীসহ আরও কিছু এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন রিকশাচালকরা। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে অবরোধ করা হয় রেলপথও। এতে কোনো যানবাহন না পেয়ে নারী, শিশুসহ অনেকেই দীর্ঘ পথ হেঁটে গন্তব্যে যান।

বছিলা থেকে অসুস্থ শিশুকে নিয়ে শ্যামলী শিশু হাসপাতালে যাবেন মমিন শেখ। কোনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে চার বছরের শিশুসন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে হাঁটতে শুরু করেন। বাসা থেকে সিএনজি অটোরিকশায় উঠলেও পথে বাধা দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা থামিয়ে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়।

মমিন শেখ বলেন, বাচ্চা অসুস্থ, বাড়িওয়ালা (স্ত্রী) হাঁটতে পারে না। অথচ কথায় কথায় আন্দোলন ডেকে পথঘাট আটকে রাখে! যারা আন্দোলন করছে কথায় কথায়, সরকারের উচিত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

দেখা গেছে, মোহাম্মদপুর এলাকায় পুরো সড়ক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সবাই হেঁটে গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন। পুরো নগরী যেন স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে নগরবাসী। মতিঝিল এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুন কাজ করেন একটি কুরিয়ার সার্ভিসে। অফিসে যাওয়ার সময় আন্দোলনকারীরা তার গাড়ি ভেঙে দিয়েছেন। আক্ষেপ করে মামুন বলেন, আমি আসছিলাম, পথে হুট করে আমার গাড়িটা ভেঙে দিলো। মতিঝিল থেকে বছিলায় আসছি, এখন কাজে যাবো অথচ আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। গাড়ি ভেঙে বলে কিছু বললে গাড়ি পুড়িয়ে ফেলবো।

অবরোধের এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও আশপাশের কয়েক জায়গায় ভাঙচুর করা হয়।

তবে নিজেদের আক্ষেপের কথা জানিয়ে এক আন্দোলনকারী বলেন, আগে ব্যাটারিচালিত গাড়ি আমদানি বন্ধ করেন, তারপর আমাদের গাড়ি বন্ধ করেন। আমরা কিস্তিতে ব্যাটারিচালিত গাড়ি (অটোরিকশা) কিনেছি, এখন কিস্তি শোধ করবো কীভাবে?