জামিন নেয়ার শর্তসহ নানা দিক বিবেচনায় সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।শনিবার মধ্যরাত ২টার কিছু সময় পর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা (ডিবি) কার্যালয় থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কারওয়ান বাজারে মুন্নী সাহাকে জনতা আটকের পর নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁকে ডিবিতে আনা হয়। তাঁর নামে চারটি মামলা আছে, তিনি অসুস্থ থাকায় সেগুলোতে জামিনের শর্তে তাঁকে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, কারওয়ান বাজারে এক টাকার খবরের অফিস থেকে বের হলে শনিবার রাতে জনতার তোপের মুখে পড়েন সাংবাদিক মুন্নী সাহা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁকে হেফাজতে নেয় তেজগাঁও থানা-পুলিশ। পরে সেখান থেকে তাঁকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
এরআগে, গত ৬ অক্টোবর মুন্নী সাহার সব ধরনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চায় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। চিঠিতে মুন্নী সাহার আমানত, ঋণ, ক্রেডিট কার্ড, ফরেন ট্রেড, এক্সচেঞ্জ, লকার ও অফশোর ব্যাংকিংয়ের তথ্য চাওয়া হয়।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে শিক্ষার্থী নাঈম হাওলাদার (১৭) নিহতের ঘটনায় একটি মামলা হয়। গত ২২ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ওই মামলা করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মো. কামরুল ইসলাম। সেই মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ একাধিক মন্ত্রী-এমপি, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সদস্য এবং পুলিশ ও র্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে মুন্নী সাহাসহ ৭ সাংবাদিককে আসামি করা হয়।
টেলিভিশন সাংবাদিক ও টক শো সঞ্চালক হিসেবে পরিচিত মুখ মুন্নী সাহার সাংবাদিকতা শুরু আজকের কাগজ দিয়ে। সেখান থেকে ভোরের কাগজ-এ দীর্ঘ সময় কাজ করার পর তিনি যান একুশে টেলিভিশনে। এরপর যোগ দেন এটিএন বাংলায়।
এটিএন নিউজের শুরু থেকে মুন্নী সাহা এই টিভি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে ২০২৩ সালের ৩১ মে তিনি এটিএন নিউজ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে ‘এক টাকার খবর’ নামের একটি প্লাটফর্মের উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments