Image description

বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে বরিশালের কীর্তনখোলা ও কালাবদর নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটে।

আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এই তিনজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার হলো।

উদ্ধার হওয়া তিনজনের মধ্যে একজন স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩) ও অপর দুটি যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ওরফে ইমন (২৯) ও মো. রাসেল আমিনের (২৪) বলে স্বজনেরা শনাক্ত করেছেন। চালক আল আমিন ভোলা সদরের ভেদুরিয়ার উত্তর চর এলাকার মো. সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ভোলা সদরের ধনিয়া এলাকার মো. শাহাব উদ্দিনের ছেলে ও রাসেলআমিন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিওপাড়া এলাকার আজগর আলী হাওলাদারের ছেলে।

এ ছাড়া দুর্ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জালিস মাহমুদ (৫০) নামে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল। তিনি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার বাসিন্দা জালিস হোসেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানিতে ভোলার বিক্রয় প্রতিনিধি (এসআর) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
 
বরিশাল সদর নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, আজ দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। পরে তিনটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।