Image description

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গ্রামের আক্তার হোসেন নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠে এসেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. বাদল মিয়া এ অভিযোগ তুলেছেন। আক্তার হোসেন ও বাদল মিয়া সম্পর্কে চাচা বাতিজা।

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, আক্তার হোসেন গত অক্টোবর মাসের ১৬ তারিখ রাতে তার বাতিজা বাদল হোসেনকে একটু কাজ আছে বলে বাসায় ডেকে নিয়ে যায়। এরপর আক্তার হোসেন জোরপূর্বক বাদল মিয়াকে আটকে রেখে খালি ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং বাদল মিয়াকে বিবস্ত্র করে আক্তার মিয়ার বউয়ের সাথে ছবি তুলে নেয়। পরবর্তীতে বাদল মিয়া অভিযোগ দায়ের করলে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ডিবি ওসি হাবিব-এর উপস্থিতিতে আক্তার মিয়ার করা ষ্ট্যাম্পের সত্যতা না পেলে কোর্ট এ মামলা দায়ের করতে বলেন। এক পর্যায় বাদল মিয়া ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্যে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে একইভাবে আক্তার হোসেন কোর্টে মামলা দায়ের করলে কোর্ট দু’জনের মামলার তদন্ত পিবিআই-তে তদন্তভার দেয়। তদন্ত শেষে এক পর্যায় বাদলের দায়েরকৃত মামলার সত্যতা পায় পিবিআই এবং আক্তার হোসেনের মামলার তদন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দা জামান মিয়া জানান, আমি প্রায় গত ২০ বছর যাবত মসজিদের কমিটিতে আছি। কোনোদিন কারোর ক্ষতির উদ্দ্যেশে কাজ করিনি। অথচ আক্তার মিয়ার মামলায় আমি নিরপেক্ষভাবে সত্যিটা স্বাক্ষী দেওয়ায় আমাকে মামলা দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম জানান, আমি রাজমিস্ত্রির কাজ করি। বাদল আমার আত্নীয়, কিন্তু আক্তার হোসেন তাকে আটকে রেখে ষ্ট্যাম্প করে নেওয়ায় আমি নিরপেক্ষ স্বাক্ষী দিলে আমার নামেও মামলা দেয় আক্তার। আক্তার সম্পর্কে তার চাচা, কিন্তু আক্তার তার বউ এর সাথে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে ছবি তুলে, যা খুবই লজ্জাজনক।

এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দারা নিরপেক্ষ স্বাক্ষী দিলে একই ভাবে আক্তার হোসেন তার বাতিজা বাদল মিয়া সহ স্বাক্ষীদের বিরুদ্ধে নামে পুনরায় হয়রানিমূলক মামলা দেন। যার তদন্ত ভার নেয় ডিবি তদন্ত চলমান।

এ মামলার বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, আক্তার বাদলকে হয়রানির উদ্দ্যেশে একের পর এক মামলা দিচ্ছে। বাদল নির্দোষ। 

আক্তার এলাকার কিছু উগ্রবাদী ছেলেদের সহযোগীতা নিয়ে বাদলকে হয়রানি করছে। এছাড়া আক্তার একই এলাকার কিছু নামীয় মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগিতায় এমন কাজ করতেছে।

এবিষয়ে বাদল মিয়া বলেন, আক্তার সম্পর্কে আমার চাচা। তার বাসায় কাজ আছে বলে আমাকে ডেকে নিয়ে এমন ঘৃণিত কাজ করে। আমি আদালতে মামলা করেছি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে মামলার নিষ্পত্তি চাই। 

এবিষয়ে মামলা বানিজ্যের হোতা আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আপনার সাথে ফোনে কথা বলতে রাজি না। আমি আপনার সাথে পরে কথা বলছি। 

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, আমি কোর্ট কর্তৃক একটি মামলা তদন্ত গ্রহন করি। এ মামলার তদন্ত চলমাম। তদন্ত শেষে আমি কোর্ট এ প্রেরণ করব।

মানবকণ্ঠ/আরআই