
নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা সংলগ্ন সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সব বয়সি ও শ্রেণিপেশার মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। গত বছর বর্ষায়ও যেখানে কাদাপানি মাড়িয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে, এখন সেই সড়ক ধরে বৃষ্টির দিনেও দৌড়ে স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে খানাখন্দের এই সড়কে ময়লা পানি আর কাদায় ভরে থাকত। ফলে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে আসতে পারত না। নতুন করে সড়কটি নির্মাণের ফলে স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার বেড়ে গেছে। ঝরে পড়ার হারও কমেছে বলে স্কুল সূত্রে জানা যায়। শুধু তাই নয়, এই সড়কের সুবাদে প্রতিনিয়ত বদলে যাচ্ছে গ্রামীণ জীবনধারা। শিক্ষা, চিকিৎসা, কৃষি, বাজার ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে সড়কটি।
আশিকুর রহমান, আজহার ও রহিম মিয়াসহ একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, সড়কটি নির্মাণে তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাদের সুদক্ষ ইঞ্জিনিয়ার সুমন মিয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে সঠিকভাবে কাজ করার ফলে এলাকার অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি এই সড়কটি গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কৃষক, জেলে, ক্ষুদ্র খামারি, মৎস্যচাষি তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদন স্বল্প সময়ের মধ্যে বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাবেন। মানুষ স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে পারছে। সড়কটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে চলাচলের জন্য পুরোপুরি উন্মুক্ত করে দিলে এ অঞ্চলের গ্রামীণ জীবনযাত্রা বদলে যাবে। পাশাপাশি সড়কটির পাশ দিয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য ও সড়কটির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য রোড টালি বসিয়ে সৌন্দর্য আরও দ্বিগুণ করে তুলছে।
আলাপকালে ইঞ্জিনিয়ার সুমন মিয়া বলেন, আমাদের তমা কনস্ট্রাকশন এন্ড কোম্পানি সব সময়ই আমাদের কে নির্দেশ দিয়েছে যেন আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে সঠিকভাবে কোম্পানির সুনাম রক্ষা করে কাজ সম্পন্ন করি। তারই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে এই নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছি।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে নিয়ে কাজ করার একটিই উদ্দেশ্য মানুষ তো ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। যদি কোনো অজ্ঞাত কারণেও কাজের মধ্যে কোনো ত্রুটি দেখা দেয়। তবে তা সাথে সাথে সংশোধন করে দেয় আমাদের কোম্পানি। এভাবেই তমা কোম্পানি খুবই স্বচ্ছতার সহিত তাদের কাজ সম্পন্ন করে থাকে।
Comments