Image description

চুয়াডাঙ্গায় বইছে মাঝারি তাপদাহ। কাঠ ফাটা গরমে এখানে জন জীবন স্থবির হয়ে পড়ছে। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে পড়ছে রোজাদার, রিক্সা-ভ্যান চালক ও খেটে খাওয়া দিন মজুররা। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক বেশী রোদ গরম পড়তে থাকে। বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৫ শতাংশ। এবং বেলা ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ)  চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আব্দুল আলিম নামে এক ভ্যান চালক বলেন, রোদ গরম সহ্য করা যাচ্ছে না। বাতাসেও যেন আগুনের তাপ। ঈদের বাজার তবুও রাস্তায় মানুষ নেই। তাই আজ ভাড়াও নেই। ঈদের আগে এমন গরম থাকলে ভাড়া হবে না। আর ভাড়া মারতে না পারলে ঈদের বাজার করতে পারবো না। 

শামীম নামে এক রোজাদার জানান, হঠাৎ করে রোদের তাপ বেড়ে যাওয়ায় সহ্য করা যাচ্ছে না। এভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় রোজা রেখে কাজে বের হওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। 

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, শুক্রবার (২৮ মার্চ) বেলা ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৮ শতাংশ। এর আগে বেলা ১২ টায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৯ শতাংশ। 

তিনি আরো জানান, শুক্রবার জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলতি মৌসুমে এটাই জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।