Image description

সিলেট বিভাগের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও যাত্রীসেবার মান বৃদ্ধির দাবিতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে সিলেট-ঢাকা রেলপথের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ রেলজংশনে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। 

রেলযাত্রী কল্যাণ পরিষদ, নাগরিক কমিটি ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন শতাধিক স্থানীয় যাত্রী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। কর্মসূচির সময় ট্রেন চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে, ফলে রেলপথে সাময়িকভাবে যাত্রী ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। আয়োজক সংগঠনগুলো জানায়, সিলেট বিভাগের রেল যোগাযোগ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। অবকাঠামো উন্নয়ন, ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সময়সূচি ঠিক রাখাসহ বিভিন্ন দাবি বারবার জানানো হলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তাদের উত্থাপিত ৮ দফা দাবি হলো:
১. আখাউড়া–সিলেট রেলপথ সংস্কার করে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করা।
২. সিলেট-আখাউড়া সেকশনে একটি লোকাল ট্রেন চালু করা।
৩. এই সেকশনের সব বন্ধ রেলস্টেশন পুনরায় চালু করা।
৪. শায়েস্তাগঞ্জ ও কুলাউড়া জংশনে আন্তঃনগর ট্রেনে বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
৫. সিলেট ঢাকা রুটের কালনী ও পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের আজমপুরের পর ঢাকামুখী যাত্রাবিরতি প্রত্যাহার করা।
৬. সিলেটগামী ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় রোধে ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন সংযোজন করা।
৭. যাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা।
৮. শায়েস্তাগঞ্জ-বাল্লা রেলপথ সংস্কার করে পুনরায় ট্রেন চলাচল চালু করা।

বক্তারা বলেন, "সিলেট বিভাগ দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। অথচ রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলটি বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষিত। যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। তাই এসব দাবি বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।" তারা আরও বলেন, "দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আগামী দিনে আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।" অবরোধ চলাকালীন রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন। পরে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয় এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।