Image description

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল হোসেনকে (৩০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিয়ে আপডেট দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাবির উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আপডেট তুলে ধরে তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলের মর্মান্তিক ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অত্যন্ত দুঃখিত ও মর্মাহত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুততার সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সচেষ্ট হয়েছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় হল প্রশাসন কর্তৃক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে এবং এই কমিটি বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টায় প্রতিবেদন দিয়েছে। এরইমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় তদন্ত কমিটি কর্তৃক চিহ্নিত আট অভিযুক্তের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত এই আটজনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে এবং সবার সহযোগিতা কামনা করছে।
 
জানা যায়, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে তোফাজ্জল নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে আটক করে ঢাবির ফজলুল হক মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা। এরপর তাকে কয়েক দফা পেটানো হয়। রাতে হলের ক্যানটিনে বসিয়ে তাকে ভাতও খাওয়ানো হয়। এরপর আবারও মারধর করা হয় তাকে।
 
ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তোফাজ্জলকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই লাশ রেখে শিক্ষার্থীরা হাসপাতাল থেকে যে যার মতো চলে যান।
 
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ছয় শিক্ষার্থী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবান্দবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গ্রেফতার ছয় শিক্ষার্থী হলেন: পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী জালাল আহমেদ, মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সুমন, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মুত্তাকীন সাকিন, গণিত বিভাগের আহসান উল্লাহ (২৪), জিওগ্রাফির আল হোসেন সাজ্জাদ ও ওয়াজিবুল আলম। 


মানবকণ্ঠ/এফআই