Image description

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ক্যাম্পাসে রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রজ্ঞাপন থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিনিধিদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) রুয়েট উপাচার্য, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং গবেষণা ও উন্নয়ন পরিচালকের সাথে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের প্রতিনিধিদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।

এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে রুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

ছাত্রদলের প্রতিনিধিদলে ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মাকসুদুর রহমান সুমিত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারহান মো. আরিফুর রহমান, এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাইউম উল হাসান। এ সভায় রুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইমরান ও ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সামিন ইয়াসার সাদ, শাফায়েত, ইমতিয়াজ এবং ম্যাটেরিয়াল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সৌরভ ও নাইম মুনতাসিরকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।

ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, "রাজনীতি মুক্ত রুয়েটে এরকম ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রশাসনকে এর জবাবদিহি করতে হবে।" 

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, "রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি, এই ঘটনায় ভিসি এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালকেরও জবাবদিহিতা করতে হবে। আমরা রুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছায়া ফেলতে দেব না।"

রুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, "রাজনীতি নিষিদ্ধ করা সত্ত্বেও ছাত্র রাজনীতি প্রবেশ ঘটানোর অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানায়। রুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে সবরকম প্রতিরোধ করবে।" এই সময়ে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে #NO_POLITICS_IN_RUET হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট ২০২৪ তারিখে রুয়েট রেজিস্ট্রার কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩ এর ৪৪(৪) ও ৪৫(৫) ধারা অনুযায়ী শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সকল ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।

মানবকণ্ঠ/এসআর