জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবাহী উল্কা-৪ বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে বাস চালক জগদীশসহ আরো অন্তত ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) মহাখালীর বাস টার্মিনাল এলাকায় একতা পরিবহনের ড্রাইভারদের ও হেল্পাররা এ হামলায় চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বাস মহাখালী ইউটার্ন এলাকায় আসলে আমাদের বাসের সামনে একতা বাস অবস্থান করছিলো। অনেকক্ষণ একই জায়গায় দাঁড়িয়ে পুরো রাস্তা ব্লক করে রেখেছিলো। হর্ন দিলেও বাস সাইড দিচ্ছিলো না। যার ফলে সামনে এগোতে পারছিলো জবির বাসও। এ ঘটনায় জবির উল্কা-৪ বাস চালকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় একতা বাসের চালকের সঙ্গে। এক পর্যায়ে মহাখালী বাস টার্মিনালের প্রায় পঞ্চাশজন বাসচালক ও ড্রাইভার মিলে ইট-পাটকেল ও লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা চালায় জবির শিক্ষার্থী ও বাসের উপর।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান সোহাগ বলেন, একতা বাস এক জায়গায় অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়ে আমাদের বাস চালক মামা যখন একতা বাসের ড্রাইভারকে বলে তখন সে লাঠি দিয়ে আমাদের বাসচালক মামার উপর হামলা চালায়। তারপর তাকে ধরে নিয়ে যেতে চাইলে আমরা বাধা দিই। তখন আমাদের উপরও হামলা চালায়। বাসে মেয়েরাও ছিল। তাদের উপরও ইট-পাথর ছুড়ে মারে।
জবির উল্কা-৪ বাস চালক জগদীশ বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালে আমাদের গাড়ির সামনে একতার বাস ছিল। একতা বাসের সামনে কোনো গাড়ি ছিল না। তাদের বারবার সাইড দেওয়ার কথা বলেনও তারা সাইড না দিয়ে বরং গাড়ি থেকে হেল্পার ও ড্রাইভার লাঠি নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। সেখানে একতা বাসের আরো অনেক কর্মচারী ছিল তারাও আমাদের উপর হামলা করে। হামলা করে আমার হাত ভেঙ্গে দিয়েছে এবং সারা শরীরে জখম করে । এমনকি চোখেও আঘাত করেছে। আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে জবির পরিবহণ প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. ওমর ফারুক বলেন, আমাদের ড্রাইভার জগদীশ মারাত্মক আহত। তার চোখটা ঠিক থাকবে কি-না নিশ্চিত না। আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীও আহত হয়েছে। শুধু জবির বাস না, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসেই যেন এমন হামলা কাম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর ড্রাইভার, হেল্পার পলাতক। একতা বাসের মালিকপক্ষ এসেছে। আমরা তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করছি। তারাও বিষয়টির সমাধান চায়। জবির কোনো বাসে যেন এমন হামলা আর না হয় তা নিশ্চিত করতে আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলছি। একটা সমাধান আসবে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments