মালিকের কুকুর আর কাস্টমারদের জন্য রান্না করা খাবার এক ফ্রিজে, একই সঙ্গে। এই ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম মহানগরীর জুবলি রোডে অবস্থিত টাওয়ার ইন হোটেলের গ্রিন চিলি রেস্টুরেন্টে।
শনিবার সকালে এই তথ্য জানান চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর জুবলি রোডে টাওয়ার ইন হোটেলে অভিযান চালানোর সময় এই পরিস্থিতি নজরে আসে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আমরা শুক্রবার সন্ধ্যায় জুবলি রোডের টাওয়ার ইন হোটেলে অভিযান চালাই। এ সময় হোটেল কর্তৃপক্ষ কোনো ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, হোটেল টাওয়ার ইনের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট গ্রিন চিলির ফ্রিজে তাদের মালিকের কুকুরের খাবার (মুরগির হাড্ডি) গ্রাহকদের খাবারের সঙ্গে সংরক্ষিত অবস্থায় পেয়েছি। এ ছাড়া রান্না করা বাসি খাবার, কাঁচা মাছ একসঙ্গে ছিল। যা দেখে গা শিউরে উঠেছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন বলেন, সত্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টটির সেফ (রাঁধুনি) একের পর এক মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। হোটেলের ও রেস্টুরেন্টের লাইসেন্স না থাকায় এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে সহায়তা না করে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তির দায়ে ৩টি মামলায় ৪১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, লাইসেন্সবিহীন হোটেল বা রেস্টুরেন্ট পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই। এ বিষয়ে আগামীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Comments