Image description

সৌদি প্রবাসী বন্ধুর স্ত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে শেখ রাসেল (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ওই ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে বন্ধুর সেই স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয় রাসেল। 
 
এমন অভিযোগ পাওয়ার পর রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব-৭-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার রোববার বিকালে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী নারী চট্টগ্রাম মহানগরের ডবলমুরিং এলাকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। ভিকটিমের স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। ২০১৭ সালে তিনি দেশে বেড়াতে আসেন।
 
এ সময় শেখ রাসেলের সঙ্গে ভিকটিমের স্বামীর বন্ধুত্ব হয়। এ সুবাদে সে প্রায়ই ভিকটিমদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করত। রাসেল তার মায়ের চিকিৎসার কথা বলে ভিকটিমের স্বামীর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নেয়। এর কিছুদিন পর ভিকটিমের স্বামী আবার সৌদি আরবে চলে যান। 
 
যাওয়ার আগে রাসেলকে বলে যান, সে যেন ঋণের টাকা প্রতি মাসে কিছু কিছু করে তার স্ত্রীকে দেয়। তার সংসারের খোঁজখবর রাখে। এই সূত্রে রাসেল প্রায় সময় তাদের বাড়িতে টাকা দেওয়ার জন্য আসত। তাদের সংসারের খোঁজখবর রাখত।
 
তিনি আরও জানান, ভিকটিমের বাড়িতে রাসেলের আসা-যাওয়ার সুবাদে রাসেল ভিকটিমের অজান্তে তার ব্যক্তিগত মুহূর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও রেকর্ড করে রাখে। পরে রাসেল ভিকটিমকে এ ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে এসব ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। ভিকটিম তার প্রস্তাবে রাজি না হলে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
 
এ ঘটনায় ভিকটিম গত ১৫ জানুয়ারি ডবলমুরিং থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। ডবলমুরিং থানা পুলিশ রাসেলকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। তার মোবাইল থেকে ভিকটিমের ছবি ও ভিডিও ডিলেট করে দেয়। এ ধরনের কাজ ভবিষ্যতে না করার অঙ্গীকার করার শর্তে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ছাড়া পাওয়ার পর রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিমের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও এডিট করে তার আত্মীয়স্বজন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। ভিকটিমকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভিকটিম চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ সালের ২৩, ২৫, ২৬, ২৯ ধারায় মামলা করেন।