Image description

কোটা সংস্কারের দাবীতে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধুরা। পরে সেই আগুনের ধোঁয়া মেট্রোরেল পর্যন্ত উঠে যায়। তখন জননিরাপত্তার স্বার্থে ওইদিন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

এরপর গত ৫ দিন ধরে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ। তবে কবে নাগাদ আবার মেট্রোরেল চালু হবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করেনি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

এদিকে ১৯ জুলাই মেট্রোরেলের মিরপুর ১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় স্টেশন দুটির। ফলে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হলেও এই দুটি স্টেশন সহসাই চালু হচ্ছে না বলে জানায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেল স্টেশনটি দেখে গেছেন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে স্টেশন দুটির। প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, সেইটাই আমাদের বক্তব্য। মেট্রোরেল কবে চালু হবে সেটা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানানো হবে।’

এদিকে মেট্রোরেলের সহিংসতায় ক্ষতি নিরূপণে ডিএমটিসিএল এর অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল, সিগন্যাল, টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড ট্র্যাক) যুগ্মসচিব মো. জাকারিয়াকে প্রধান করে আট সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মেট্রোরেল সূত্রে জানা গেছে, মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন পুনরায় চালু করতে প্রায় ৬ মাস থেকে এক বছর লেগে যাবে। এই স্টেশন দুটিতে সব ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি নতুন করে বসানো হবে। পাশাপাশি কারিগরি প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশনের ই-সিস্টেমের পুরোটাই ধ্বংস হয়ে গেছে। এ সিস্টেম পুনরায় সচল করতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা লাগতে পারে। কাজীপাড়া স্টেশনের ই-সিস্টেম অর্ধেকের বেশি নষ্ট হয়ে গেছে। এই স্টেশনের ই-সিস্টেম ঠিক হতেও ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ই-সিস্টেম ছাড়াও দুই স্টেশনে থাকা পাঞ্চ মেশিন, ভেন্ডিং মেশিন, বিভিন্ন ডিভাইস, কম্পিউটারসহ আরও যে সব জিনিসপত্রের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাও ঠিক করতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা লেগে যেতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে, মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি টাকা।

মানবকণ্ঠ/আরএইচটি