Image description

বরাবরের মতো সারাদেশের প্রতিযোগীদের নিয়ে ‘মার্শাল আর্ট বিডি কারাতে প্রতিযোগিতা ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার ৮৪টি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেন পাঁচ শতাধিক কারাতেকা।

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ধামন্ডিতে সারাদেশ থেকে আগত ২৪টি অংশগ্রহণকারী দল নিয়ে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে মার্শাল আর্ট বিডি। প্রতিযোগিতার খেলাগুলো একেএফ ও বিকেএফের বিজ্ঞ বিচারকমণ্ডলী দ্বারা সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়। 

খেলা শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের হাতে মেডেল আর সার্টিফিকেট তুলেন দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

এসময় মার্শাল আর্ট বিডির প্রতিষ্ঠাতা সেন্সেই নাজমুল সাহাদাত বলেন, আমরা আমাদের জীবনধারা বদলের চিন্তা করি ও চেষ্টা করি। কেউ সফল হতে পারি আবার কেউ পারি না। না পারার প্রধান কারণ হচ্ছে, সঠিক চিন্তাভাবনা এবং তার কৌশলের অভাব। আমাদের জীবনধারা বদলানোর মূল শক্তি হচ্ছে- নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, আত্মরক্ষা ও সাহস সঞ্চয় করা, সুশৃংখলার বিকাশ করা, শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা বাড়ানো। অনেক ধৈর্য ও সাধনার বৃদ্ধি করা অপরাধমূলক চিন্তা ভাবনা থেকে দূরে থাকা এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধি করা। কারাতে আপনার জীবনের এই সব বিষয়গুলোর মান উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

বর্তমানে ঢাকায় পর্যাপ্ত উন্মুক্ত মাঠের অভাব যার কারণে অনেক ক্ষেত্রে না চাইলেও বাচ্চারা ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটিসের ভেতর দিয়ে যেতে পারে না। এক্ষেত্রে কারাতে হতে পারে সুন্দর সমাধান। কারাতে এমন একটি বিষয়, যা আপনাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। সুস্থ জীবন থেকে শুরু করে চিন্তাশীল, ডিসিপ্লিন্ড, কনফিডেন্ট, অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার বানায়। আসুন কারাতে শিখি, আত্মপ্রত্যয়ী হই।

মার্শাল আর্ট বিডির জেনারেল সেক্রেটারি সেন্সেই আশফিরা সুলতানা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে নারীদের কারাতে শেখার জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে হয়। যদিও ১৯৮০ সালে প্রথম নারীরা কারাতে প্রশিক্ষণ নেয়া শুরু করে, তথাপি এখনও মেয়েদের কারাতে প্রশিক্ষণ নেয়াকে স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখে না সমাজ। এই ধারণা থেকে বের হয়ে আসার লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও কারাতের মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে আমাদের এই প্রতিযোগিতার আয়োজন। কারাতের অনুশীলন আরও শানিত করতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের কোন বিকল্প নাই।

তিনি বলেন, আমি সকল অভিভাবক বিশেষ করে মায়েদের বলবো, যারা এখনো আপনার সন্তানকে মার্শাল আর্ট শেখানো শুরু করেন নি, এই যান্ত্রিক ডিজিটাল বন্দিশালার যুগে বাচ্চাদের ঘরে বন্দি না করে রেখে; আসুন কারাতে শিখাই, তাদের সুন্দর জীবনকে আরো সুন্দরভাবে সুসংগঠিত গড়ে তুলি।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস