Image description

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধের ঘটনায় চিকিৎসাধীন বাবুল মিয়া (৪০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে একই ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিকিৎসাধীন বাবুলের মৃত্যু হয়। জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে বাবুল মিয়া নামে আরও একজন মারা গেছেন। তার শরীরের ৬৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে সেলি বেগম ৩০ শতাংশ ও  সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তবে তাদের দুজনের অবস্থাও আশংকাজনক।

এছাড়া ২৯ অক্টোবর রাত পৌনে ৮টার দিকে বাবুল মিয়ার মেয়ে তাসলিমা আক্তার (৯) মারা গেছে। এরআগে তসলিমার বড় ভাই সোহেল ও ইসমাইলের মৃত্যু হয়।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে বিস্ফোরণে ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসায় নিচতলায় ভাড়া থাকতো। বাবুল রাজ মিস্ত্রির করে। স্ত্রী সেলি এনজেড নামে পোশাক কারখানায় কাজ করে। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। সোহেলের স্ত্রী মুন্নি। এবং ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকতো।

তিনি আরও বলেন, তারা ওই বাসার পাশাপাশি রুমে ছিল। চাচা বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসার মেশিন লাগানো ছিল। কিন্তু গভীর রাতে হঠাৎ কম্প্রেসার মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে তারা ছয়জন দগ্ধ হয়। পরে প্রতিবেশীরা তাদেরকে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়।

মাণববকন্ঠ/আরআই