রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলনরত পোস্টগ্রাজুয়েট বেসরকারি প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকরা সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন। তবে কর্মবিরতি কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দিয়ে তারা বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ভাতা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন না করা হলে আবারও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে যাবেন চিকিৎসকরা।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সারজিস আলম শাহবাগে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আশ্বাস দেন। পরে সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে শাহবাগ অবরোধ ছাড়ার ঘোষণা দেন ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস সোসাইটির সভাপতি ডা. জাবির হোসেন।
তিনি বলেন, আজকে আমরা আন্দোলন চলাকালীন সময়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বসেছিলাম। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাদেরকে দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। তাই আমরা আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভাতা বৃদ্ধির আলটিমেটাম দিচ্ছি এবং আজকের মতো আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করছি। তবে এই সময় আমাদের কর্মবিরতি চলবে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, আমরা পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডক্টরদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করছি। এই আন্দোলন শতভাগ যৌক্তিক। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা হয়েছে। নবম গ্রেড সমমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমরাও চাই বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের ঘোষণা আসতে হবে। যদি ঘোষণা না আসে, তাহলে চিকিৎসকদের সঙ্গে আমরাই রাজপথে নামব।
এর আগে রবিবার সকালে বিএসএমএমইউয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেন চিকিৎসকরা। কর্মসূচিতে আবাসিক-অনাবাসিক ট্রেইনি চিকিৎসকরা অংশ নেন।
২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে তাদের ভাতা ৫০ হাজার টাকা করার দাবি জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। আওয়ামী লীগ সরকারের আমল থেকেই তাদের এই আন্দোলন চলে আসছে জানিয়ে চিকিৎসকরা বলেন, ৩ বছর ধরে আমাদের এই আন্দোলন চলে আসছে। তখন জামায়াত-শিবির ট্যাগ দিয়ে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এবার অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তারা ভাতা বৃদ্ধি করে দ্রুত প্রজ্ঞাপন দাবি করছেন।
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments