রাজধানীর গুলশানে একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদা দাবির অভিযোগে সাত জনকে গ্রেফতার করেছে স্থানীয় পুলিশ। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে গুলশান-২ এর একটি আবাসিক হোটেলে চাঁদাবাজির সময় তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা তিনটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, রাকিব ওরফে আবু জায়ের (২০), মো. মনির হোসেন (১৯), ফরহাদ হোসেন শাওন (২৩), আসিফ শেখ (২০), আরিফুল ইসলাম ইমন (২৪), আহম্মেদ হোসেন (২৩) এবং মো. সজিব হোসেন (১৯)।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টার দিকে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন লোক গুলশান-২ এর ‘রোজ উড রেসিডেন্স লিমিটেড’ নামের একটি আবাসিক হোটেলে জনৈক ‘বিলাস দাদা’র নাম উল্লেখ করে হোটেলের স্টাফদের কাছে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করার হুমকি দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরের দিন দুপুর ২টার দিকে হোটেলের ম্যানেজার মো. ফরাদুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে ফোন দিয়ে আবারও চাঁদা দাবি করা হয়। একই দিন বিকাল সোয়া ৩টায় হামিদ নামের আরেকজন কল করে ‘বিলাস দাদা’র লোক পরিচয় দিয়ে চাঁদার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে চায়। ২৭ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৯টার অজ্ঞাতনামা ২৫ থেকে ৩০ জন ওই হোটেলে ঢুকে মাসিক ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। স্টাফরা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা হোটেলে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে এবং হয়রানি করে। তখন ম্যানেজার ফরাদুজ্জামানের মাধ্যমে হোটেল মালিককে পাঁচ মিনিটের মধ্যে হোটেল এসে তাদের দাবি করা চাঁদা দিতে বলে। না দিলে তারা হোটেল ভাঙচুরের হুমকি দেয়।
পুলিশ বলছে, হোটেল মালিক তাৎক্ষণিক বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে জানালে ডিএমপির গুলশান থানা পুলিশ সেখানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালানোর চেষ্টা করলে থানা পুলিশ তাদের সাত জনকে গ্রেফতার করে। সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ ঘটনায় হোটেল মালিক মেহেদী হাসান তুষার বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
মানবকণ্ঠ/আরএইচটি
Comments