
জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর ফলে বন্ধ হয়ে গেছে পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরের দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থী, আনসার, কর্মচারীসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে জরুরি বিভাগে সেবা বন্ধ থাকায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
জানা যায়, সংঘর্ষের ঘটনা পর দুপুর ১টা থেকে হাসপাতালে কর্মবিরতি চলছে। এতে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কর্মবিরতির কারণে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কার্যক্রম বিকেল ৫টা পর্যন্ত বন্ধ দেখা গেছে এবং প্রায় ৩০ মিনিট অস্ত্রোপচার বন্ধ ছিল।
হাসপাতালটির কর্মচারীরা জানান, সকাল সাড়ে ১১টার পর থেকে জরুরি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালের ভেতরে সেনাবাহিনী আর প্রধান ফটকে পুলিশের অবস্থান দেখা যায়।
কর্মচারীরা জানান, কয়েক দিন ধরেই এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কর্মচারীদের নানা ধরনের দ্বন্দ্ব চলছে। এর মধ্যে রবিবার রাতে হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকের কর্মী রফিককে মারধর করা হয়।
এর প্রতিবাদে সোমবার সকালে তারা কর্মবিরতি পালন করেন। সেই কর্মবিরতির মধ্যেই তাদের ওপর আবার হামলা চালানো হয়।
তবে অভ্যুত্থানে আহত চিকিৎসাধীন মামুন নামের এক রোগী জানান, হাসপাতালের দালাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কথা বলায় তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ফিজিওথেরাপি নিতে গিয়েছিলেন আমাদেরই কয়েকজন। তখন তাদের ওপর হামলা চালায় হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারী আর দালাল।’
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কেনানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। হাসপাতালে আর্মির কমান্ডিং অফিসারসহ অন্যরা রয়েছেন। আপনার সঙ্গে একটু পরে কথা বলছি।’
Comments