Image description

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু হয়েছে আগস্টের ১০ তারিখ থেকে। সময়ের হিসেবে এক মাসের অল্প অধিক। কিন্তু এরই মধ্যে বিগত ১৬ বছরের শাসনামলের জঞ্জাল অপসারণ করে লাইনচ্যুত রাষ্ট্রযন্ত্রের ট্রেনকে সচল করে চালাতে শুরু করেছে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। 

রাষ্ট্র কাঠামোর সর্বস্তরে সংস্কারের জনআকাঙ্ক্ষাকা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। এ পর্যায়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ৬ প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ দেশের ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিকের নেতৃত্বে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে সরকার। এর মধ্যে গণতন্ত্রের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, স্বচ্ছও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যামে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করা। কিন্তু বিগত কয়েকটি নির্বাচনে জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এ জন্য নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের একটি কমিশন করা হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কারের জন্য পৃথক পৃথক কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গত ১২ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ ঘোষণা দেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের এই সময়ে দেশে এখন একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হয়েছে; জনগণের সরকার গঠন হয়েছে। তাই মানুষ তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং বঞ্চনার জায়গা থেকে কথা বলছেন। এটা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য। এ সরকারের সব সময় প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা। সংবিধান থেকে শুরু করে প্রতিটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কারের কাজ করতে হবে। 

আন্দোলনের ফলস্বরূপ গঠিত নতুন সরকার নিজেরা গত মাসে অনেকগুলো আন্দোলনের মুখোমুখি হয়েছে। সংখ্যালঘু নিরাপত্তা আন্দোলন, এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল, আনসারদের আন্দোলন, পোশাক শ্রমিক আন্দোলন, রিকশাওয়ালাদের আন্দোলন ও ডাক্তার নার্সরা নানা দাবিতে নেমেছিল আন্দোলনে। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সেগুলো সুরাহা হয়। তবে বেগতিক দিকে মোড় নেয় আনসার আন্দোলন। শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি হয়ে সে আন্দোলন প্রতিহত করে। 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ইতোপূর্বে বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষার যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু হয়েছে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা এর থেকে বেরিয়ে যেও না।’ তিনি এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ছাত্রদের সার্বক্ষণিক কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান। অন্যদিকে, দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের জন্য বিষফোঁড় ‘খেলাপি ঋণের’ ব্যাপারে কার্যকর অ্যাকশন নেয়া জরুরি। সেই লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গবেষক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে ফেরত আনা, খেলাপি ঋণ দ্রুত আদায় করার পাশাপাশি যেসব ব্যাংকে সমস্যা আছে, সেগুলো পুনর্গঠন করার পরামর্শ দেবেন। অবশ্য এই কমিটির প্রাথমিক ইতোমধ্যে কয়েকটি ব্যাংক পুনগঠন, পর্ষদ ভেঙে নতুন করে ঢেলে সাজানো হয়েছে। তারল্য সংকট সমাধান করা হচ্ছে। 

বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য একটা টাস্কফোর্স গঠন করার প্রক্রিয়া চলছে। তারপরে ব্যাংকসমূহও সংস্কারের ব্যাপারে কাজ চলছে। রিজওয়ানা হাসান বলেন, সংস্কারের জন্য সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে, সেগুলো আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবে বলে আশা করছে সরকার। তারপর এক পর্যায়ে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে যাবে সরকার। ওই সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক মতৈক্য গড়ে সংস্কার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার, কোনো কোনো ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট সংশোধনী এনে তারপর নির্বাচনের কথা ভাবছে সরকার। এ জন্য প্রথম থেকেই রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। এর পর সংলাপ হবে। রাজনৈতিক দলগুলোই ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছে আগে সংস্কার, পরে তারা নির্বাচনে যেতে চায়। কাজেই আজকের দিনে বাস্তবতা ও প্রেক্ষিতও ভিন্ন।’ 

সামনের দিনে সংবিধান সংস্কারসহ বেশ কয়েকটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে এই সরকারের সামনে। রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন জরুরি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে, কারণ জনপ্রত্যাশাও এটা। অবশ্য, ড. ইউনূস তার ভাষণে বলেন, ‘আমরা জনগণের ভোটাধিকার ও জনগণের মালিকানায় বিশ্বাস করি। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার উন্নয়ন আমাদের সংস্কার ভাবনায় গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা মনে করি, নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনো গোষ্ঠীর কাছে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এসব আশঙ্কা রোধ করার জন্য নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্কিত নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করা হচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন  কমিশন, পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, সংবিধান সংস্কার কমিশন এ ছয়টি প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য অপরিহার্য। এসব প্রতিষ্ঠানের সংস্কার জন-মালিকানাভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়ও অবদান রাখবে বলে বিশ্বাস করেন ড. ইউনূস।’ 

তিনি আরও বলেন, এসব বিষয়ে সংস্কার করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এসব কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে এই কমিশনগুলো পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরপর বিভিন্ন বিষয়ে আরও কমিশন গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। 

নব গঠিত এসব কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন যথাক্রমে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কারে কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী এবং সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে আধ্যাপক আলী রীয়াজ দায়িত্ব পালন করবেন। এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। 

কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শ সভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র-শ্রমিক-জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। অবশ্য এ ব্যাপারে, ‘যত দ্রুত সম্ভব এসব সংস্কার শেষে নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা এবং একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন রাজনীতিবিদরা। তারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষিত কমিশনগুলো তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রণয়ন প্রক্রিয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করবে বলেই তাদের আশা। এরপর জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি প্রকৃত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া হবে, এমনটাও প্রত্যাশা তাদের। 

অন্যদিকে ড. ইউনূস বলেছেন, এসব কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পর্যায়ে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শ সভার আয়োজন করবেন। চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্রসমাজ, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি নিয়ে ব্যাপকভিত্তিক তিন থেকে সাত দিনব্যাপী একটি পরামর্শ সভার ভিত্তিতে সংস্কার ভাবনার রূপরেখা চূড়ান্ত করা হবে। এতে এই রূপরেখা কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তার একটি ধারণাও দেয়া হবে। এই আয়োজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তা বাস্তবায়ন এবং রাষ্ট্র পুনর্নির্মাণ তাগিদের ঐক্যবন্ধনে গোটা জাতিকে শক্তিশালী ও আশাবাদী করে তুলবে বলে আশাবাদ তার। 

এদিকে স্বাস্থ্য সেক্টর সংস্কারে গঠিত কমিটির প্রধান এম এ ফয়েজ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে  দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি পত্রিকায় পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, আমার পক্ষে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। দায়িত্ব নেয়ার পর একটা বৈঠক করতে পেরেছেন বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি, মেইলের মাধ্যমে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়। ১১ সদস্যের এই প্যানেলের সভাপতি করা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজকে। 

কমিটি গঠনের পর থেকেই এ নিয়ে নানা সমালোচনা শুরু হয়। অবশ্য সরকার এরইমধ্যে গণঅভ্যুত্থানে শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা. আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করা। আহতদের দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ তালিকা হালনাগাদ হতে থাকবে। 

শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার তার যাত্রালগ্নে ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন গঠন করেছে। সব শহীদ পরিবার এবং আহতদের সর্বোত্তম চিকিত্সাসহ তাদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এই ফাউন্ডেশন গ্রহণ করছে। এই ফাউন্ডেশনে দান করার জন্য দেশে-প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আহ্বান জানানো হয়েছে। 

আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে ব্যাংকিং কমিশনও গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে বাজেট সাপোর্ট চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে অতিরিক্ত ৩ বিলিয়ন, বিশ্বব্যাংক থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন, জাইকা থেকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাইপলাইনে থাকা ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক সহায়তা ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে লুটপাট বন্ধের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পেঁয়াজ, আলুর দাম আরও কমাতে শুল্কহার হ্রাসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর জাতির উদ্দেশে দেয়া দ্বিতীয় ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য গুরুত্বপূর্ণ বলে প্রতীয়মান হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সংস্কার চাই। আমাদের ওপর সংস্কারের গুরুদায়িত্ব দিয়ে আপনারা দর্শকের গ্যালারিতে চলে যাবেন না। আমাদের সঙ্গে থাকুন, একসঙ্গে সংস্কার করব। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব। আপনারা নিজ নিজ জগতে সংস্কার আনুন। বিগত মাসে আমি বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে পৃথকভাবে বসে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি। তারাও সংস্কারের কাজে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এখন আমাদের অগ্রসর হওয়ার পালা।’ জনআকাঙ্ক্ষার বহুল প্রত্যাশিত সংস্কারে গৃহীত কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হবে এবং তা আলোর মুখ দেখবে।

লেখক: সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক-বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম। 


মানবকণ্ঠ/এফআই