Image description

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে জরাজীর্ণ টিনের ঘরে। ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পর সঙ্কট সমাধানে কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করলেও অদ্যবধি জরাজীর্ণ টিনের ঘরেই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে ৭৭.০০ শতাংশ জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জুনিয়র এমপিও স্বীকৃতি পায় ১৯৮৫ সালে ও মাধ্যমিক এমপিও অনুমোদন পায় ১৯৯৫ সালে। তখন থেকেই উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নে মাধ্যমিক শিক্ষায় গুরুত্বপুর্ন অবদান রেখে আসছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিনশত শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে অধ্যয়নরত। এ ছাড়া বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রেনী কক্ষ সঙ্কটের সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে পড়েছে। ছাদ ও বারান্দার পিলার গুলোর ঢালাই খসে রড বেরিয়ে পড়েছে। দরজা-জানালাগুলো ভাঙ্গা। অনেক স্থানে দেয়ালে ফাটল ধরেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি চুইয়ে পড়ে ভবনের ভেতরে। এতে করে যেমন শঙ্কায় দিন পার করছে শিক্ষার্থীরা, তেমনি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় স্কুলের গুদামঘর ও জরজীর্ন টিনের ঘরে ক্লাস চালাতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ। শ্রেনীকক্ষে বাঁশের সঙ্গে ফ্যান ঝোলানো রয়েছে। জরাজীর্ণ ভবনটিতে রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের কার্যালয়।

১০ম শ্রেনির শিক্ষার্থী মো. মোকছেদুল বলেন, আগে যে ভবনটিতে ক্লাস করতাম এখন সেটি ব্যবহারের অনুপযোগী। জরুরী ভিক্তিতে বিদ্যালয়ে একটি ভবন নির্মান করা প্রয়োজন। 

৯ম শ্রেনি শিথী শিক্ষার্থী হারদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বহুমুখী সংকটে নিমজ্জিত বিদ্যালয়টি। ছাত্র ছাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি। জরুরী ভিক্তিতে বিদ্যালয়রে একটি ভবন নির্মান খুবই দরকার। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। 

ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন জানান, ভবনটির জরাজীর্ণ দশার কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগের শেষ নেই। এমন অবস্থায় ক্লাস নিতে হচ্ছে জরাজীর্ন টিনের ঘরে। জরুরী ভিক্তিতে একটি নতুন ভবন নির্মান করা খুবই প্রয়োজন। কয়েক মাস আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানে আশ্বস্ত করেছেন। 

মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. মনিরুজ্জামান জানান, ফরিদগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর বরাবর দরাখস্ত দিতে বলেছি। 

পটুয়াখালী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. ইমরান হোসাইন বলেন, আমি বিদ্যালয় গিয়ে খোঁজ খবর নিবো। দেখি পরবর্তীতে নতুন ভবনের জন্য কি ব্যবস্থা করা যায়। 


মানবকণ্ঠ/এফআই