Image description

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে দিন দুপুরে প্রাইভেটকার যোগে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় বাধা দেওয়া ফারজানা আক্তার ওরফে পিংকি (১৮) নামের এক তরুণীকে মাক্রোবাস চাপা দিয়ে হত্যা করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের একটি চক্র।এ ঘটনায় আহত হয়েছে- নিহতের মা আছমা বেগম ও ফুফাতো ভাই নাজমুল হাসান জাহাঙ্গীর।

শুক্রবার উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই তরুণী ওই বাড়ির আব্দুল কাদেরের মেয়ে ও বাংগড্ডা বাদশা মিয়া স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। রায়কোট উত্তর ইউপির সদস্য এ এসএম নাছির মোল্লা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এলাকাবাসী জানা যায়, শুক্রবার সকালের আব্দুল কাদের তার গরু তালতাল শরীফপুর সড়কের পাশে নিজ বাড়ির সামনে বেঁধে রাখে। দুপুরে দিকে আব্দুল কাদের জুম্মার নামাজে যান। ওই সময় প্রাইভেটকার যোগে ৫-৬ জনের একটি ডাকাত দল গরুটিকে প্রাইভেটকারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুল কাদেরের স্ত্রী আছমা বেগম বাঁধা দিলে তাকে প্রাইভেটকারে তুলে মারধর করে। মায়ের চিংকার শুনে মেয়ে পিংকি বাঁধা দিয়ে প্রাইভেটকারের সামনে দাঁড়ালে ডাকাতদল তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এই সময় নাজমুল হাসান জাহাঙ্গীর তার মামি আছমা বেগমকে বাঁচাতে প্রাইভেট কারের পিছনে পিছনে দৌঁড়ে গিয়ে একটি গ্লাস বাঙ্গার চেষ্টা করে।

পরে ডাকাত দলের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আদা কিলোমিটার দুরে তাকে ও আসমা বেগমকে লাথি মেরে প্রাইভেটকার থেকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে একই ইউপির পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর গ্রামের রাস্তার পাশে গরুটি পাওয়া যায়।
 
এ বিষয়ে নিহতের মা আছমা বেগম জানান, ডাকাতরা প্রাইভেটকার যোগে গরু নিয়ে যাচ্ছিল। তখন তিনি দৌঁড়ে প্রাইভেটকারের সামনে গেলে ডাকাতরা জোর করে তাকে প্রাইভেট কার ভেতরে নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। তার চিৎকার শুনে তার মেয়ে পিংকি দৌঁড়ে এসে প্রাইভেটকার সামনে দাঁড়ালে তার বুকের ওপর দিয়ে পুরো গাড়িটি তুলে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় পিংকি। এই সময় ভাগিনা জাহাঙ্গীর দৌঁড়ে এসে তাকে উদ্ধার করে। তিনি হত্যাকাণ্ডের বিচার চান।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

কুমিল্লা জেলার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রাম সার্কেল) নিশাত তাবাসসুম বলেন, খবরটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছি। তদন্ত করে সঠিক কারণ জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।