Image description

বরিশালে হাট-বাজার-ঘাট দখলের পর এবার মহাশ্মশান দখলের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবৈধভাবে দখল নেয় বলে অভিযোগ করেছেন পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ। বিএনপির অনুসারী অসীম দাস মুরালি ও বিজয় ভক্ত লোকজন নিয়ে অবৈধভাবে বরিশাল মহাশ্মশান দখল নেয়। যদিও তাদের দাবি দখল নয়, শ্মশানের কার্যক্রমে গতি বাড়াতেই সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বরিশাল মহানগর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, আসন্ন শ্মশান দ্বীপাবলী ও শ্মশান কালী পূজা উদ্যাপন উপলক্ষে করনীয় নির্ধারনের জন্য গত ১৮ অক্টোবর (শুক্রবার) বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ মহানগর এর উদ্যোগে বিকাল ৪টায় বরিশাল হিন্দু মহাশ্মশান প্রাঙ্গনে একটি সার্বজনীন সভা আহ্বান করা হয়। সভায় কিছু সংখ্যক যুবক উপস্থিত থেকে সভার কাজে বাঁধা সৃস্টির জন্য হট্টগোল করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে প্রথমে পুলিশ সদস্য ও পরে সেনাবাহিনীর সদস্যগণ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। ইতোমধ্যে উপস্থিত হওয়া অধিকাংশ নাগরিক সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এ অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে কোন সভাই অনুষ্ঠিত হয়নি এবং কোন কমিটিও গঠন করা হয়নি। মহাশ্মশান রক্ষা কমিটির নামে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ নিজেদেরকে কোন পদের অধিকারী বলে দাবী করলে তা সম্পূর্ণ অবৈধ বা বেআইনী বলে গণ্য হবে বলে দাবী করেন তারা।

জানা গেছে, বরিশাল মহাশ্মশান কমিটি প্রতি দুই বছরের জন্য গঠিত হয়। কিন্তু সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল, তারা সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের অনুসারী ছিলেন। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন কুডু মুখার্জী এবং সেক্রেটারি ছিলেন তমাল মালাকার। সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে কমিটির নেতৃবৃন্দ গা ঢাকা দেন, যা মহাশ্মশানের কার্যক্রমে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মহাশ্মশান কমিটির সদস্যদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির নতুন সভাপতি হয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার অনুসারী অসীম দাস মুরালি এবং সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন বিজয় ভক্ত।

নবগঠিত কমিটির সেক্রেটারি বিজয় ভক্ত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের স্বাক্ষর এনে একটি পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই কমিটির নেতাদের আর দেখা যাচ্ছে না, যা আমাদের কার্যক্রমে বিপত্তি সৃষ্টি করেছে।’

তিনি আরও জানান, ‘শুক্রবার বিকেল ৪টায় সভা আয়োজনের কথা ছিল, তবে নির্ধারিত সময়ে সভা শুরু না হওয়ায় কিছু সদস্য ডাকচিৎকার শুরু করেন। বিজয় দাবি করেন, ধাক্কাধাক্কির কোন ঘটনা ঘটেনি।’

এদিকে আজ রবিবার রাতে বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ বরিশাল মহানগরের নেতৃবৃন্দ এক জরুরি সভায় বসেছেন। এ সভায় পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান পূজা উদ্যাপন পরিষদের এক নেতা।

মানবকণ্ঠ/এসআরএস