বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে সমুদ্র স্নান ও উল্লাসে মেতেছে আগত পর্যটকরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকে সৈকতে পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। যদিও ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, তবুও অনেকেই তা উপেক্ষা করছেন।
এদিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর ক্রমেই উত্তাল হয়ে উঠছে। উপকূল জুড়ে রাত থেকেই হালকা এবং মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আকাশ ঘন কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে আছে।
বাতাসের চাপ না থাকলেও কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল হয়ে আছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। এর ফলে অনেক এলাকার বেড়িবাঁধের বাইরে নিচু এলাকা এবং নদীর তীর প্লাবিত হয়েছে।
তবে এর মধ্যেই পর্যটননগরী কুয়াকাটায় বেশ পর্যটকের উপস্থিতি রয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ, থানা পুলিশ এসব ট্যুরিস্টকে সাগরে সাঁতার কাটতে নামতে দেয়নি। অবস্থানরত ট্যুরিস্টদের নিরাপদে হোটেলে অবস্থানের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগামীকাল শুক্রবারের সাপ্তাহিক ছুটিকে কেন্দ্র করে যে পরিমাণ পর্যটক সমাগম হওয়ার কথা, তার তুলনায় বর্তমানে সংখ্যা অনেক কম বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তারা বলছেন, এর ফলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জরুরি সভা ডেকে সব ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাইকিং করতে বলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।’
মানবকণ্ঠ/এসআরএস
Comments