Image description

সালথায় মো. সুজন মাতুব্বর (৩০) নামে এক যুবককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে, সাইফুল আলম নামের এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে। আহত সুজন এখন হাসপাতালের বিছানায় অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আহত সুজনের পরিবার বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। বৃহস্পতিবার বিকালে সালথা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত সুজন মাতুব্বর সালথা উপজেলার রামকান্তপুর ইউনিয়নের খলিশাডুবি গ্রামের ইদ্রিস মাতুব্বরের ছেলে। অভিযুক্ত হামলাকারী সাইফুল আলমও খলিশাডুবি গ্রামের বাসিন্দা ও ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক।

আহত সুজনের পরিবার জানান, ছাত্রদল নেতা সাইফুল আলমের পরিবারের সঙ্গে তাদের পরিবারের জমি নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এর আগে ওই ঝামেলা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে মারামারিও হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্রদল নেতা সাইফুল প্রতিশোধ নিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেন।

জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, ‘সুজন আমার সম্পর্কে ভাতিজা হয়। সে ২০১৪ সালে আমাকে দুবার লাঠি দিয়ে আঘাত করে। সে সময় আমার বাবা ঠেকাতে গেলে আমার বাবার হাত ভেঙে যায়। এছাড়া দেড় বছর আগেও আমার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তাইতো আমার ছোট ভাই ওকে চড়থাপ্পড় মেরেছে, কিন্তু হাতুড়ি পেটা করেনি। পরে বিষয়টি শুনে আমি মীমাংসা করে দিয়েছি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।’

ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।