নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কবিরাজের দেওয়া কৃমিনাশক ‘পাহাড়ি ফল’ খেয়ে নারী-শিশুসহ একই পরিবারের ৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
ভুক্তভোগীরা হলেন- কুড়ালিয়া গ্রামের একই পরিবারের ফারুক মিয়া (৩৫), কামরুন নাহার (৩০), রাবিয়া বেগম (৬০), হুসনে আরা (৬৫), মুজাহিদ (৯), ইকরা (৭), ও ইলমা (৩)।
স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের কাছ থেকে কৃমির ওষুধ আনেন তারা। ওই কবিরাজ তাদেরকে কৃমির ওষুধ হিসেবে এক ধরনের পাহাড়ি ফল দেন। নিয়মানুযায়ী আজ (শুক্রবার) সকালে পরিবারের সবাই খালি পেটে ওই ফল খাওয়ার পরপরই একে একে অজ্ঞান হতে থাকেন। এসময় তারা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
ভুক্তভোগীদের স্বজন হনুফা আক্তার বলেন, কৃমির ওষুধ হিসেবে কবিরাজের দেওয়া পাহাড়ি ফল খেয়েই সবার এই অবস্থা। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সবাইকে।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খান তারা। এর ফলে তারা একই পরিবারের সাতজনই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে শিশুদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ। তাই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।
মাণববকন্ঠ/আরআই
Comments