Image description

কিংবদন্তি নাট্য অভিনেতা মো. মাসুদ আলী খানের তৃতীয় জানাযা শেষে নানা বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার পারিল গ্রামে শায়িত হয়েছেন। বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। 

ইন্তেকালের পর ঢাকায় গ্রীনরোডে প্রথম জানাযা সম্পন্ন হয়। এরপর পৈত্রিক ভিটা সিংগাইরের জয়মন্টপে দ্বিতীয় জানাজা এবং পারিল গ্রামে নানার বাড়িতে বাদ জুমায় তৃতীয় জানাযা সম্পূর্ণ করে পারিবারিক কবরস্থান দাফন সম্পন্ন হয়।

দেশের টেলিভিশন, চলচ্চিত্র এবং মঞ্চ নাটকের গুণী অভিনেতা মাসুদ আলী খান। ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে নানা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতায় কিছুকাল পড়াশুনার একটি অংশ শেষ করেন এরপর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। পরে তিনি জগন্নাথ কলেজ এবং স্যার সলিমুল্লাহ কলেজে পড়াশোনা করেন।

মাসুদ আলী খান তার ক্যারিয়ার মঞ্চ নাটক দিয়ে শুরু করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পরপর নূরুল মোমেনের নাটক ‘ভাই ভাই সবাই’ দিয়ে ছোট পর্দায় মাসুদ আলী খানের অভিষেক হয়। আর সাদেক খানের ‘নদী ও নারী’ দিয়ে বড় পর্দায় তার পথচলা শুরু। পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে প্রায় ৫০০ নাটকে বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।

তার অভিনীত কয়েকটি সিনেমা-‘দুই দুয়ারি’, ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘মাটির ময়না’। তার অভিনীত আলোচিত কয়েকটি নাটক হচ্ছে ‘কূল নাই কিনার নাই’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’।

২০২৩ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করেন।