চাঁদপুর সদরে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে সম্প্রতি ২০টি বসতঘর বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া নদীতে পানি কমায় নতুন করে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে আরও সহস্রাধিক পরিবার।
এদিকে ভাঙন রোধে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে শুক্রবার মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী।
ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বাগাদী ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জমাদারবাড়ি, খানবাড়ি ও গাজীবাড়িসহ প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে।
গেল এক সপ্তাহে নদী তীরের ২০টি পরিবারের বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী বিলকিস ও তাসলিমা বেগম।
বর্তমানে মসজিদ, মাদরাসা, বসতবাড়ি, কবরস্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সহস্রাধিক পরিবার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে বলে জানান তারা।
এরই মধ্যে ভাঙন সমস্যার কথা জানিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে একাধিকবার স্মারকলিপি দিয়েছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
স্থানীয় সৈয়দ খান ও জাকির হোসেন জানান, আগে নদী ভাঙন তীব্র হলে সরকারের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতেন। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা কেউ নেননি।
ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শনের কথা জানিয়েছেন চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে কাজ করা হবে।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments