নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাণিজ্যিক গ্যাসলাইন থেকে অবৈধভাবে আবাসিক গ্যাসলাইনের সংযোগ দিতে গিয়ে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে সাত শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার কাঁচপুরের সোনাপুরের জুয়েলারি গল্লি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন—মিজান, জাহাঙ্গীর আলম, রিপন, সুলতান, শাহজালাল, মো. জয় ও রাজু।
স্থানীয়রা জানান, সোনাপুর এলাকায় বাণিজ্যিক গ্যাসলাইন থেকে অবৈধভাবে আবাসিক সংযোগ নেওয়ার সময় ওয়েল্ডিং মেশিন দিয়ে কাজ করতে গেলে পাইপ লিকেজ হয়। এতে বিস্ফোরণে দগ্ধ হন তাঁরা। পরে স্থানীয়রা দগ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করে।
কাচঁপুর এলাকার হানিফ মিয়া বলেন, যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরা তিতাস কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে এ কাজ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল, সুমন ও শিপন বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য শাহআলম ও নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে আ. রউফ, সেলিম, ফজলু মিয়া, মাসুম, মঈনুল, রুসমত হাজী, ইকবাল, মালেক ও তিতাস সোনারগাঁ অঞ্চলের অফিস সহকারী প্রদিপ বাবুসহ স্থানীয় একটি চক্র জড়িত রয়েছে। এ জন্য প্রতিটি আবাসিক লাইনের জন্য ৫ হাজার, ১০ হাজার টাকা নিয়েছে চক্রটি।
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা আজমত হোসেন, শাহীন ও আমেনা আক্তার জানান, প্রতিটি লাইনের জন্য তাঁরা ৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন।
জাতীয় বার্ন এবং প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সার্জারির আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, গত রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতজনকে দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মিজান ১৯, জাহাঙ্গীর আলম ১০, রিপন ৯, সুলতান ২০, শাহজালাল ৭, মো. জয় ২২ ও রাজু ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, এদের মধ্যে চারজনের দগ্ধের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের ভর্তি করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনের দগ্ধের পরিমাণ কম থাকায় তাঁদের জরুরি বিভাগের অবজারভেশনে রাখা হয়েছে এবং দুপুরের দিকে তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
কাচঁপুর মডার্ন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিতাস গ্যাসের সোনারগাঁ অঞ্চলের সুপারভাইজার ফয়েজ আহাম্মেদ লিটন বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। স্থানীয় লোকজন অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সাতজন দগ্ধ হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানে হবে। তাঁরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments