Image description

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে কৃষকেরা কন্দ পেঁয়াজ লাগানো শুরু করেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় রবি মৌসুমে কন্দ পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরের তুলনায় ৪ হেক্টর বেশী । তবে এখনো আবাদ চলমান রয়েছে। আবাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সঠিক পরিমাপ করা সম্ভব নয়।

উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের কামলাবাজ গ্রামের কৃষক মো: আব্দুস সালাম জানান, গত বছর ২ শতক জমিতে কন্দ পেঁয়াজ চাষ করেছি। ছয় হাজার টাকা মন গুটি পেঁয়াজ কিনেছি। সব মিলিয়ে ১০ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। ফসল ভালো হওয়ায় প্রায় ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়েছিল। এ বছর ৪ শতক জায়গায় কন্দ গুটি পেঁয়াজ লাগিয়েছি। বর্তমানে পেঁয়াজের যে দাম তা ঠিক থাকলে ৩ গুন লাভের আশা করছি। এখনতো সব কিছুর দাম বেশি তাই খরচও বেশি হচ্ছে। 

একই গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, আমি এ বছর ৪ শতক জমিতে কন্দ পেঁয়াজ লাগিয়েছি। এতে খরচ হবে ২০ হাজার টাকার মতো। আশা করছি ফসল ভালো হলে খরচ বাদে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হবে।  গত বছর বীজ থেকে চারা করে এক একর জমিতে ফসল করেছিলাম। এবার আরো বেশি জমিতে পেঁয়াজ করার ইচ্ছা  আমার মতো অনেক কৃষক ই পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। আমার গ্রামে প্রায় ১০-১২ জন কৃষক এবার পেঁয়াজ চাষ করছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: আলাউদ্দিন জানান জামালগঞ্জ উপজেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর অনেক কৃষক কন্দ গুটি পেঁয়াজ এবং হালি পেঁয়াজ চাষ করেছেন। গত বছর ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর দ্বিগুন কৃষক পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হয়েছেন।এতে অন্য ফসলের চেয়ে খরচ অনেকটাই কম হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পরলে এবার কৃষকের মুখে হাসি ফোটার আশা করি। এ ব্যাপারে কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। আশা করছি, এ বছর উপজেলায় পেঁয়াজের চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলার চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব হবে।

মানবকণ্ঠ/এসআর