যশোরের ঝিকরগাছায় নিখোঁজের ১৩ ঘণ্টা পর সাদিয়া খাতুন (৭) নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের দাবি, সোনার কানের দুলের জন্য সাদিয়াকে হত্যা করেছে চম্পা খাতুন (২৫) নামের এক নারী। চম্পা খাতুনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত সাদিয়া হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমরা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার বাবলুর রহমানের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিকরগাছা থানার ওসি বাবলুর রহমান খান। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয় সাদিয়া। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায় না। পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয়রা তার বাড়ির পাশে একটি বাঁশবাগানে মরদেহ দেখতে পান। এ সময় তারা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার অফিস ইনচার্জ (ওসি) বাবলুর রহমান খান জানান, ‘সাদিয়া নামে একজনের মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি।’
তিনি আরও বলেন, স্বর্ণের কানের দুলের লোভে প্রতিবেশী চম্পা বেগম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে নিহতের পরিবারের ধারণা। সকালে ডিবি পুলিশ যশোর পৌরশহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বর থেকে চম্পাকে আটক করা হয়। চম্পা ওই গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments