নেত্রকোনার খালিয়াজুরিতে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে হামলার শিকার মো. শফিকুল ইসলাম তালুকদার বাদী হয়ে নয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেছেন। এর আগে গত বুধবার রাতে খালিয়াজুরি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন-যুগান্তরের খালিয়াজুরি উপজেলা প্রতিনিধি মো. শফিকুর ইসলাম তলুকদার ও ইত্তেফাকের প্রতিনিধি মো. মহসিন মিয়া।
মামলায় আসামিরা হলেন-জেলার খালিয়াজুরি উপজেলা সদরের মৃত মনির হোসেনের ছেলে মোস্তফা, মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে জুলহাস, মৃত সিতু মিয়ার ছেলে আজিজুল , সিরাজ মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া, মৃত এনায়েত উল্লাহর ছেলে আব্দুল বাতেন মিন্টু, মৃত মনির হোসেনের ছেলে হানিফ, জুলহাস মিয়ার ছেলে তোফাজ্জ্বল, মৃত তুফানি বিশ্বাসের ছেলে শুকুমার বিশ্বাস ও চান্দু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া । এদের মধ্যে সিরাজ মিয়া ও আজিজুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শফিকুল ইসলাম তালুকদারসহ তিনজন সাংবাদিক ও কয়েকজন হাসপাতালের প্রধান ফটকের পাশে চায়ের দোকানের সামনে বসে আলাপ করছিলেন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত লাঠি, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে শফিকুল ইসলাম এবং মহসিনের ওপর হামলা চালায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেস ক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকরা প্রতিবাদ সভা করেন।
আহত সাংবাদিকরা জানান, তারা কয়েকজন মিলে চায়ের দোকানের সামনে চেয়ারে বসে কথা বলছিলেন। আকস্মিকভাবে ছয়-সাতজন যুবক এসে হামলা চালায়। কিন্তু কী কারণে, কেন এই হামলা চালানো হয়েছে তা তারা এখনো বুঝতে পারছেন না।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল বিকালে পুলিশ আজিজুল ইসলাম ও সিরাজ মিয়া নামের দুজনকে আটক করে। পরে দায়ের করা মামলায় আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
এ ব্যাপারে খালিয়াজুরি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মকবুল হোসেন তালুকদার বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
মানবকণ্ঠ/এসআর
Comments