দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে বিএনপির এক কর্মীর করা হত্যা মামলায় জামায়াতে ইসলামীর হাসমত আলী মণ্ডল (৪১) নামের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার হাসমত আলী উপজেলার ৬ নম্বর জোতবানী ইউনিয়নের একইর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জামায়াতের জোতবানী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সদস্য ও সক্রিয় কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাদ্দিস এনামুল হক।
গত ২৫ অক্টোবর বিপ্লব আলম ওরফে বিলু (৪৭) নামের এক বিএনপি কর্মী বাদী হয়ে উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের রশিদুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। বাদী বিপ্লব কাটলা ইউনিয়নের উত্তর দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা।
মামলায় দিনাজপুর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১১৩ জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলার ১১৩ নম্বর আসামি হাসমত আলী।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ২৮ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে কাটলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউনুছ আলী ও বিএনপির প্রার্থী নাজির হোসেন নির্বাচন করেন। ওই নির্বাচনে দক্ষিণ কাটলার ধানহাটি এলাকার রশিদুল ইসলাম বিএনপির প্রার্থী নাজিরের কর্মী হিসেবে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে ইউনুছ আলী নির্বাচিত হন। পরে ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিকেলে কাটলা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নবনির্বাচিত ইউনুছ আলীর পক্ষে সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে বিএনপির কর্মী রশিদুল ইসলাম কাটলাবাজারে অবস্থান করছেন জানার পর শিবলী সাদিকের নির্দেশে তাঁকে ধরে লাঠি ও রড দিয়ে পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই রশিদুল মারা যান।
ওই মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় ৮ জনসহ মোট ১১ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক গ্রেপ্তার হাসমত আলীকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Comments