Image description

বগুড়ায় কারাবন্দী জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাদত আলম ঝুনুর (৫৬) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

শাহাদত আলম ঝুনু বগুড়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বগুড়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার ফারুক আহমেদ তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মঙ্গলবার সকালে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছিল। পথে অবস্থার অবনতি হলে সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বগুড়া জেলা কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝুনু গোসল করে ফেরার পথে স্ট্রোক করে বাথরুমের দরজায় ওখানে পড়ে যান। তাৎক্ষণিকভাবে কারাগারের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে দেখেন এবং দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।

জেল সুপার ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, শাহাদত আলম ঝুনুকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।

বিকেল ৪টার দিকে বগুড়া থেকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে ঢাকায় নেওয়ার পথে তার অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ, গত ২৬ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদত আলম ঝুনুকে গ্রেপ্তার করে বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারের আগে ও পরে বগুড়া সদর থানায় তার নামে হত্যাসহ সাতটি মামলা দায়ের করা হয়।

মানবকণ্ঠ/আরআই