Image description

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াই-সংঘাত চলছে গত এক বছর ধরে। এ সংঘাতের ভেসে আসা বিকট শব্দে সবসময় আতঙ্কিত থাকেন এপারের সীমান্তে বসবাসকারীরাও, কাটে নির্ঘুম রাত।

টেকনাফবাসী বলছেন, বৃহস্পতিবার রাতেও পর পর কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তারা। তবে মিয়ানমারে চলমান এ সংঘাতের মধ্যে এমন শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণের শব্দ তারা আর শুনেননি। শক্তিশালী বিস্ফোরণে বাংলাদেশ সীমান্তের ঘরবাড়িও কেঁপে উঠে।

স্থানীয়রা জানান, আজ রাত সাড়ে ৮টার দিকে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়েছেন কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তবাসী।

টেকনাফের সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নূর হোসেন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতের বিস্ফোরণের শব্দটি অনেক বেশি ভয়াবহ। এমন শব্দ আর কখনও শোনা যায়নি।’

সীমান্তবাসী জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে পর পর পাঁচটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসে। সঙ্গে সঙ্গে সীমান্ত এলাকার ভবন, বাড়িঘর থর থর করে কেঁপে উঠে। এতে বড় কোনো ভূমিকম্প হয়েছে ভেবে ঘরে-বাইরে মানুষজন এদিকসেদিক ছোটাছুটি শুরু করেন।

ঘটনার পর পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সীমান্ত এলাকার লোকজন একের পর এক এমন আতঙ্কের কথা প্রকাশও করেন।

টেকনাফ পৌরসভার কুলালপাড়ার বাসিন্দা এবং একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার টেকনাফ প্রতিনিধি আব্দুস সালাল লেখেছেন, ‘সীমান্তের ওপারে বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আতঙ্কিত টেকনাফ সীমান্ত এলাকার বাসিন্দারা।’

টেকনাফ পৌরসভার কাউন্সিলর হোসেন আহমদ লেখেছেন, ‘বারবার বিকট শব্দ, হে আল্লাহ সকলকে হেফাজত করুন।’

টেকনাফের সাংবাদিক ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আশেকুল্লাহ লেখেছেন, ‘স্মরণকালের মিয়ানমারের শক্তিশালী বোমার বিকট শব্দে টেকনাফ কাঁপল।’

একইভাবে আতঙ্ক প্রকাশ করেছেন আরও অনেকেই।

মানবকণ্ঠ/আরআই