কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইটভাটার মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া সবেদ আলী ঘাট এলাকায় কাউয়াবাড়ির সঙ্গে বাঘাবাড়ির এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ভৈরব থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে রফিকুল ইসলাম, রাজন মিয়া, লিটন মিয়া, উসমান মিয়া, কামাল মিয়া, জামান মিয়া, সোহরাফ হোসেন, সুজন মিয়া, সাত্তার মিয়া ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া রহমত আলী, মনির মিলন, রুস্তম, ওমর ফারুক, হামিদ মিয়াসহ বাকিরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, কালিকাপ্রসাদ দক্ষিণপাড়া সবেদ আলী ঘাট এলাকায় কামাল মিয়ার ইটভাটার জন্য বশির মিয়ার জমি থেকে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষে ইটভাটা মালিকের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কালিকাপ্রসাদ ৩নং ওয়ার্ড যুবদল সহসভাপতি কাউয়াবাড়ির নবী হোসেন। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই ওয়ার্ডের যুবদল সাধারণ সম্পাদক বাঘাবাড়ির মো. মোস্তফা।
বাঘাবাড়ির মোস্তফা মিয়া বলেন, কামাল মিয়া আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে আমাদের বাপ-দাদা ও চাচাদের জমি দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ইটভাটা চালাচ্ছে। আমি বাধা দেওয়ায় চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে আমার মানহানির চেষ্টা করে। আমি কামালের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার সঙ্গে থাকা কিছু দুষ্কৃতকারী আমাদের হামলা করে। পরে বিষয়টি সংঘর্ষে রূপ নেয়।
কাউয়াবাড়ির নবী হোসেন বলেন, ইটভাটায় আমাদের বংশের অনেকের কয়েক কোটি টাকা পুঁজি দেওয়া আছে। ইটভাটাটি বন্ধ হলে আমাদের অনেক ক্ষতি হবে। এ কারণে ইটভাটার পক্ষে কথা বলায় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে।
ইটভাটা মালিক কামাল বলেন, মোস্তফা ও লোকমানসহ কয়েকজন বিএনপির নেতা আমার ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। মাটি কাটলেই তাদের চাঁদা দিতে হবে বলে হুমকি দেয়। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা আমার ওপর হামলা করে।
ভৈরব থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ শাহীন বলেন, ‘এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানবকণ্ঠ/আরআই
Comments